শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিয়ের ৬ দিনের মাথায় খুন হলো দিতি, ঘাতক আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি
৩০ জুন, ২০২২, 4:00 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
৩০ জুন, ২০২২, 4:00 PM
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিয়ের ৬ দিনের মাথায় খুন হলো দিতি, ঘাতক আটক
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় বাবার বাড়িতেই খুন হলো দিতি নামের এক গৃহবধু। কিন্তু কি কারণে খুন হলো দিতি তা এখনো জানা যায়নি। বুধবার (২৯জুন) দিবাগত রাত দশটার দিকে নালিতাবাড়ী পৌর এলাকার কালিনগর মহল্লায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত খুনি রহুল আমিন ও তার ভাবিকে আটক করেছে পুলিশ। নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ নিহতের স্বজনদের বরাতে জানায়, নালিতাবাড়ী পৌর এলাকার কালিনগর মহল্লার মুছা মিয়ার মেয়ে দিতির গত বৃহস্পতিবার উপজেলার চেল্লাখালী সন্যাসীভিটা এলাকায় খাইরুল নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ে পর দিতিকে পিতার বাড়ি কালিনগর রেখে স্বামী খাইরুল পেশাগত কাজে কর্মস্থল ঢাকায় চলে যায়। একই এলাকার (কালিনগর) মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে রহুল আমিন (২৫)। রহুন আমিন মাদক সেবন করতেন। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘাতক রহুল আমিন তার ভাবি রাহেলাকে নিয়ে দিতিদের বাড়িতে যায়। এসময় রাহেলা দিতিকে দরজা খোলতে বললে দিতি দরজা খোলে দেয়। সাথে সাথেই রহুল আমিন বটি দা দিয়ে দিতির মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে দিতিকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে রাত সাড়ে দশটার দিকে নকলা উপজেলায় দিতির মৃত্যু হয়। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ঘাতক রহুল আমিনের ভাবি রাহেলাকে আটক করে রহুল আমিনকে খোঁজতে থাকে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে রহুল আমিন নিজেই ঘটনাস্থলে পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করে ধরা দেয়। এ বিষয়ে নিহত দিতির মা জানান, রাতের খাওয়া শেষে তারা শুইতে যাইতেছিলো। এমন সময় রহুেলর ভাবী এসে দরজা খুলতে বলে। পরে দিতি দরজা খোলার সাথে সাথেই কুপিয়ে রহুল পালিয়ে যায়। তার ভাবিও চলে যায়। কি কারণে তারা আমার মেয়েডারে মারলো আমরা জানিনা। আমি আমার মেয়ের খুনিদের বিচার চাই। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফরোজা নাজনীন ও নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল। ওসি বছির আহমেদ বাদল বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। কি কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে আমরা সবকিছু উদঘাটন করতে পারবো খুব তাড়াতাড়ি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নকলা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। মেয়ের বাবা মোঃ মুসা মিয়া মামলার বাদী হয়ে ঘাতক রহুল আমিনকে আসামী করে আজ সকালে মামলা দায়ের করেছে।