ঢাকা ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব গাজীপুরে জাসাস নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা এভারকেয়ার হসপিটাল ও সংলগ্ন এলাকায় ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ২ দিন বন্ধ চাঁনখারপুলে আনাসসহ ৬ জনকে হত্যা: ট্রাইব্যুনালের রায় ২০ জানুয়ারি ২৭ ডিসেম্বর পদত্যাগ করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের কর্মসূচি জানাল বিএনপি বাংলাদেশের তরুণদের কর্মসংস্থানে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক সেনা কর্মকর্তা রেদোয়ানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ

শেখ হাসিনা ছাত্রনেতা থেকে আজ বিশ্বনেতা: তথ্যমন্ত্রী

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  9:08 PM

news image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রনেতা থেকে এখন বিশ্বনেতা মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্পচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশের ললাটে যত অর্জন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই গত কয়েক দশকে তা অর্জিত হয়েছে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র 'শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রূপকার' এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিতব্য প্রধানমন্ত্রীর জীবনভিত্তিক টাইমলাইন 'শেখ হাসিনা প্রতিদিন' উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য সচিব মকবুল হোসেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া এবং একাত্তর টিভির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বক্তব্য রাখেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রূপকার’ গণযোগাযোগ অধিদফতরের মাধ্যমে সারা দেশে প্রচারিত হবে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলকেও এটি দেওয়া হবে। তারা তাদের সুবিধামতো প্রচার করবে। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের পক্ষ থেকে ‘শেখ হাসিনা প্রতিদিন’ টাইমলাইনটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর জীবনালেখ্য জানানোর জন্য প্রচার করা হবে, দেশের অন্যান্য টেলিভিশনও প্রচার করবে। মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রনেতা থেকে বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালকের সংগ্রহে থাকা ১৯৭০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি মিছিলে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেওয়ার ছবিটি আমি দেখেছি। শেখ হাসিনা তখন শুধু ইডেন কলেজের ভিপি ছিলেন তা নয়, তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। আজ তিনি ছাত্রনেতা থেকে বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রতীক, বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক। তিনি একজন বাঙালি নারীর সত্যিকারের প্রতিচ্ছবি, যাকে দেখলে একজন বাঙালি নারী কেমন, সেটি দেখা যায়। যার সঙ্গে কথা বললে একজন বাঙালি মা কেমন, সেটি জানা যায়। যার সঙ্গে কথা বললে একজন বাঙালি কন্যা ও বধূ কেমন, সেটি বোঝা যায়, জানা যায়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শিশুকাল থেকেই সংগ্রামের মধ্যে। তার জন্মের সময় পিতা সেখানে ছিলেন না। বিয়ের সময় পিতা সেখানে ছিলেন না। প্রথম সন্তান জন্মের সময় তার পিতা কারাবন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন অন্তরীণ। সেই অন্তরীণ অবস্থায় তার প্রথম সন্তান প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম। অর্থাৎ জীবনের সব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাবাকে তিনি পাননি। তাই শৈশব থেকেই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে পরিণত বয়সেও কারও বাবার মৃত্যু হলে সন্তানের মেনে নিতে কষ্ট হয়, সেখানে শেখ হাসিনা একদিনে হঠাৎ মা, বাবা, ভাই-ভাবি, আত্মীয়-পরিজন সবাইকে হারিয়ে আবার বাংলাদেশের সব মানুষকে আপনজন করে নিয়েছেন উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে আরও দীপ্তপদভারে তিনি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, এটি একজন শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। আমি মনে করি বিশ্ব প্রেক্ষাপটেও এত দুর্ঘটনার পর এরকম নেতৃত্ব প্রদান সহজ নয়। হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারতে গিয়েছিলেন তখন ভারতের কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সেই পোস্টে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লিখেছিলেন, শেখ হাসিনা হচ্ছেন আমার প্রেরণার উৎস। সবাইকে হারিয়ে দেশের কোটি কোটি মানুষকে আপন করে নিয়ে শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, শুধু প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে নয়, সমগ্র পৃথিবীর সব রাজনৈতিক নেতার কাছে তিনি এক অনন্য উদাহরণ ও প্রেরণার উৎস।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম