শাস্তি নয়, পরিস্থিতির উন্নতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ জানুয়ারি, ২০২২, 2:06 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ জানুয়ারি, ২০২২, 2:06 PM
শাস্তি নয়, পরিস্থিতির উন্নতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
শাস্তি নয়, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের র্যাব এবং বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ সাতজনের মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) এবং বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদও রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব দপ্তর)। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আলোচনায় অর্থনীতি, কৃষি এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা ইস্যু এসেছে। অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেছি। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে একইভাবে বিবেচনা করা। আমি বলেছি বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, খুবই শকিং, হৃদয় বিদারক। তারা বলেছে, বর্তমান মার্কিন সরকার মানবাধিতার বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, মার্কিন সরকার মনে করে, এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে হয়তো বাংলাদেশে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বাংলাদেশকে কোনো শাস্তি দেওয়ার জন্য তারা এটা করিনি। এটা তিনি (রাষ্ট্রদূত) আমাকে বলেছেন। উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে হয়তো ব্রিফ নেবেন, তিনি তিন বছর এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। লিখিত রিপোর্টও দেবেন, তিনি অবশ্যই বলবেন- এই নিষেধাজ্ঞা যেন রিভিউ করা হয়। আমি তাকে বলেছি, এভিডেন্সসহ তাকে আমাদের একটা রাইটআপও দেবো। নানা অপরাধের জন্য ১৯০ জন র্যাব কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা শুনে তিনি (আর্ল মিলার) এ বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ চেয়েছেন। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে বলে মার্কিন সরকার প্রশংসা করেছে। তাদের ধারণা- কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। সেটার উন্নতি হওয়া দরকার। তারা আশা করে এটা হবে। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি বলেছি, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তোমাদের (রাষ্ট্রদূত) সরকারের ভুল ছিল। কিন্তু তোমাদের সিভিল সোসাইটি আমাদের সাহায্য করেছে, ফান্ড দিয়েছে।