র্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার মূল আসামীসহ গ্রেফতার-২
২০ নভেম্বর, ২০২৪, 12:22 PM
NL24 News
২০ নভেম্বর, ২০২৪, 12:22 PM
র্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার মূল আসামীসহ গ্রেফতার-২
আবুল হোসেন বাবলুঃ র্যাবের যৌথ অভিযানে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানা এলাকায় পরকীয়ার জেরে চাঞ্চল্যকর খালিদ বিন লিশাদ (১৮) হত্যা কান্ডের প্রধান আসামীসহ দুই জন গ্রেফতার। পরকীয়ার বলি কিশোর খালিদ বিন লিশাদ এর মরদেহ নিঁখোজের ৩ দিন পর নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এজাহারের বরাত দিয়ে র্যাব-১৩'র অধিনায়কের পক্ষে সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানাধীন মুশা (শফি মিয়ারপাড়া) গ্রামের মবিদুল হক এর ছেলে খালিদ বিন লিশাদ নিঁখোজ হয়। নিঁখোজ হওয়ার ৩ দিন পর ১২ নভেম্বর সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কিশোরগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত মুশরুত পানিয়ালপুকুর গ্রামের সাইফুন বাধ সংলগ্ন চারালকাটা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের পিতাসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন লাশটির পরনের শার্ট-প্যান্ট ও পায়ের জুতা দেখে তার ছেলে খালিদ বিন লিশাদ বলে সনাক্ত করেন। এই ঘটনায় কিশোরগঞ্জ থানার মামলা নং-১৩, তারিখ-১২/১১/২০২৪ ধারা-৩০২/ ২০১/৩৪ পেনাল কোড মূলে ক্লুলেস হত্যা মামলা রুজু হয়। এই নৃশংস হত্যা কান্ডটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ সময় ঘটনাটি র্যাব-১৩ সিপিসি-২ নীলফামারী ক্যাম্পের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে হত্যা কান্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচন ও ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ নভেম্বর ঘটনার সাথে জড়িত দুই জনকে ডিএমপি ঢাকার বাড্ডা থানাধীন মরা গলি এলাকায় র্যাব-১৩ সিপিসি-২ নীলফামারী ও র্যাব-০২ সিপিএসসি যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। রুস্তম খান এর ছেলে ওয়াহিদ এবং একই গ্রামের ওয়াহিদ এর স্ত্রী মিনু বেগম। উভয়ের বর্তমানে ঠিকানা ঢাকা জেলার ডিএমপি মোহাম্মদপুর থানার অন্তর্ভুক্ত মকবুল মাস্টারের বাড়ি (রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী)। উল্লেখ্য যে, নিহত ভিকটিম খালিদ বিন লিশাদ এর সাথে মিনুর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত হত্যা কান্ডে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।