র্যাগ ডে’র নামে অপসংস্কৃতি বন্ধের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ এপ্রিল, ২০২২, 3:11 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ এপ্রিল, ২০২২, 3:11 PM
র্যাগ ডে’র নামে অপসংস্কৃতি বন্ধের নির্দেশ
র্যাগ ডে’র নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজে পার্টি, বুলিং অপসংস্কৃতি, অশ্লীলতা ও নগ্নতা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (১৭ এপ্রিল) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় র্যাগ ডের নামে বিভিন্ন রকম অপসংস্কৃতিমূলক কার্যক্রম বন্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এর আগে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগ ডে’র নামে ডিজে পার্টি, বুলিং, অশ্লীলতা ও নগ্নতা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। গত ৭ এপ্রিল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
রিটে র্যাগ ডের নামে অশ্লীলতা বন্ধে নির্দেশনার পাশাপাশি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজে পার্টি, বুলিং অপসংস্কৃতি ও অশ্লীলতা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পুলিশের আইজি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি র্যাগ ডের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও ডিজে পার্টির আয়োজন করা হয়, এগুলোর স্থির চিত্র ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক জীবন মান নষ্ট হচ্ছে। আবেদনে আরও বলা হয়, যেহেতু দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগ শিশু-কিশোর ও তরুণ এবং দেশের আগামী ভবিষ্যৎ, সেহেতু আমাদের আগামী প্রজন্মকে এ ধরনের অপসংস্কৃতির হাত থেকে রক্ষার জন্য র্যাগ ডে’র নামে অশ্লীলতা, ডিজে পার্টি ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়মূলক এসব কার্যক্রম সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ করা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, এর আগে একই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠান রিটকারী আইনজীবী। তবে সে নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় তিনি রিট দায়ের করেন।