ঢাকা ১২ মার্চ, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গোপালগঞ্জ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিদায় সংবর্ধনা ও নবাগত নির্বাহী প্রকৌশলীকে বরণ আশুলিয়ায় ফুটপাতের হকারদের মানববন্ধন শেখ হাসিনা পরিবারের ১২৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ এবার যে ৭ জন পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার দুই সন্তানকে হত্যার পর স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা! জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল এ বছর জনপ্রতি ফিতরা কত জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভোটার তালিকায় নাম থাকলেই প্রবাসীরা প্রক্সি ভোট দিতে পারবেন: ইসি পাচারকৃত কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরের মধ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব: অর্থ উপদেষ্টা মাগুরার সেই শিশুটির অবস্থার আবারও অবনতি

রুগ্ন প্রতিষ্ঠানের এক্সিট পলিসি দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ মার্চ, ২০২৫,  10:58 AM

news image

নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে কোনও ব্যবসা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাংকের দায় থেকে মুক্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে ব্যাংকের সব ঋণ পরিশোধ করে এক্সিট বা প্রস্থান করতে পারবে রুগ্ন ওই সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন। সোমবার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- ‘বিদ্যমান ঋণস্থিতির ন্যূনতম ৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নগদে পরিশোধপূর্বক এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্তির আবেদন করতে হবে।’ যদিও আগে ডাউন পেমেন্টের হার ১০ শতাংশ ছিল। ‘ঋণগ্রহীতার আবেদনপ্রাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে ব্যাংক কর্তৃক তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বা নির্বাহী কমিটি কর্তৃক এক্সিট সুবিধা অনুমোদিত হতে হবে।তবে মূল ঋণ অনূর্ধ্ব ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত এক্সিট সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এমডি) ওপর অর্পণ করা যাবে।’ আগে যেটা ১০ লাখ টাকা ছিল। ‘এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ হিসাব কোনো অবস্থায়ই পুনঃ তফসিলীকরণ বা পুনর্গঠন করা যাবে না। এ সুবিধাপ্রাপ্তির পর গ্রাহক পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণ আদায়ে ব্যাংক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম (পারভেজ) বলেন, ‘এক্সিট নয়, এটি প্রহসনের পলিসি দেওয়া হয়েছে। কারণ যে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে সে টাকা দেবে কিভাবে। তিন বছরের মধ্যে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান টাকা ফেরত দিতে পারে, তাহলে তার ব্যবসা বন্ধ করার প্রয়োজন কি? সে তো এমনিতেই ব্যাংকের দেনা পরিশোধ করতে পারে। আমরা চেয়েছিলাম উন্নত দেশগুলোর মতো একটা পলিসি। যেখানে বড় বড় ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। একাধিক পক্ষের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে প্রয়োজনে সাপোর্টিভ ফান্ড সহায়তা দেওয়া হয়। যাতে ব্যাংকের টাকাগুলো তারা ফেরত দিতে পারে। কিন্তু এখন যে পলিসি দেওয়া হয়েছে এখানে নতুন কিছু নেই। আগের নীতিমালায়ই শুধু কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আর কিছু না।’

এর আগে, ২০২৪ সালের ৮ জুলাই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গতকাল সেই প্রজ্ঞাপনের কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী পুরোপুরি ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ঋণের গুণগত মানের কোনো পরিবর্তন হবে না এবং প্রস্থান সুবিধা ব্যবহারকারী গ্রাহকরা এই সময়ের মধ্যে নতুন ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না। কোনো ব্যবসায়ী এ সুবিধা নিলে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে পুরো ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এসব গ্রাহক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করে- অনিয়ন্ত্রিত কারণগুলোর কারণে ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা বা প্রকল্পগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। যার ফলে ঋণ সংগ্রহ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় এবং ঋণ পরিশোধের জন্য অপর্যাপ্ত নগদ প্রবাহ দেখা দেয়। এতে এ ধরনের ঋণগুলো খেলাপি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়, তবে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসাবে নয়। ঋণের বিপরীতে যথানিয়মে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে এবং ঋণ সমন্বয়ের পূর্বে ঋণের বিপরীতে গৃহীত জামানত অবমুক্ত করা যাবে না। তবে ব্যাংক, গ্রাহক ও ক্রেতা আগ্রহী হলে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে আলোচ্য ঋণের বিপরীতে বন্ধকীকৃত সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে ঋণ সমন্বয় করা যাবে। এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্তির পর গ্রাহক পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণ আদায়ে ব্যাংক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উল্লেখ্য, ইসলামী শরিয়াহিভত্তিক ব্যাংকসমূহ উপরোক্ত নীতিমালা অনুসরণ করে তাদের নিয়মিত ও বিরূপমানে শ্রেণীকৃত বিনিয়োগ আদায়/সমন্বয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম