যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর পেটে লাথি, গর্ভের সন্তানের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৫ জুলাই, ২০২৫, 1:04 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি
১৫ জুলাই, ২০২৫, 1:04 PM

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর পেটে লাথি, গর্ভের সন্তানের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার আগরপুর গ্রামে যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বামী সাগর আহম্মেদ স্ত্রী সাথী খাতুনের (২৫) পেটে লাথি মেরে তার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করেছেন। সোমবার ভুক্তভোগী সাথী খাতুন সলঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির। জানা যায়, বর্তমানে সাথী খাতুন চিকিৎসাধীন। তিনি অভিযোগ করেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিয়মিতই যৌতুকের জন্য আমাকে নির্যাতন করত। আমার স্বামীর একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কও রয়েছে। আমি এ নির্মম ঘটনার সঠিক বিচার চাই। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ৪ বছর আগে ৩ লাখ টাকা কাবিনে সাথীর সঙ্গে একই গ্রামের সাগর আহম্মেদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কিছুদিন সংসার ভালো চললেও সম্প্রতি সাগর বিদেশে যাওয়ার জন্য ৪ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ দাবিতে স্ত্রী রাজি না হওয়ায় সাগর এবং তার পরিবার সাথীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৮ জুলাই দুপুরে টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাগর আহম্মেদ অন্তঃসত্ত্বা সাথীর পেটে লাথি মেরে তাকে বিছানা থেকে ফেলে দেন। এতে গুরুতর আহত হন সাথী খাতুন। পরে তাকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হলে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে জানা যায়, তার গর্ভে থাকা ৩ মাসের সন্তান মারা গেছে। সাথীর বড় ভাই সজিব বলেন, আমার বোনের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। তারা শুধু তাকে মারেইনি, গর্ভে থাকা শিশুটাকেও হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। তবে অভিযুক্ত সাগর আহম্মেদের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।