যে পর্যন্ত মশা না কমবে সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও কমবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, 9:28 PM
NL24 News
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, 9:28 PM
যে পর্যন্ত মশা না কমবে সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও কমবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ফয়জুল ইসলামঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যা যা দায়িত্ব রয়েছে ডেঙ্গু চিকিৎসায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তা শতভাগ করছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যে পর্যন্ত মশা না কমবে সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও কমবে না। রোববার দুপুরে ঢাকার আশুলিয়ার জিরানী বাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের চক্ষু ইউনিট উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নিকট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি গতকালও ২ হাজার নতুন রোগী আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ১৫ জন। দেড় লাখ লোক আক্রান্ত হয়ে আছে। এখনো ১০ হাজার লোক হাসপাতালে ভর্তি আছে। মশা নিধনে প্রত্যাকটি জায়গায় পরিষ্কার রাখতে হবে। শুধু ঢাকা শহরে নয়, জেলাগুলোতেও এই কাজ করতে হবে। তবেই মশা কমবে, তবেই ডেঙ্গু রোগী কমবে এর বাইরে আমাদের কিছু বলার নেই। করোনার কাছে আমরা জয়ী হয়েছি তবে ডেঙ্গুর কাছে সরকার বা স্বাস্থ্য খাত হেরে যাচ্ছি কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কাজ আপনারা খুব ভালো জানেন। তাদের দ্বায়িত্ব ডাক্তার-নার্সদের ট্রেইন করা। এছাড়া রোগীরা যাতে বেড পায়, ওষুধ পায় ও সেলাইন পায় সেই কাজ সফলতার সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করে আসছে। বাইরে আমরা দেখলাম সেলাইনের অভাব দেখা দিচ্ছে, কিন্তু আমাদের হাসপাতালে সেলাইনের অভাব নেই। তারপরেও আমরা সরকারি ভাবে নির্দেশনা দিয়েছি যেনো ৭ লাখ সেলাইন বাজারে ইনপুট করে আনা হয়। সেটাও ইতিমধ্যে কার্যক্রম হয়ে গেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেখবেন বাংলাদেশে সেলাইন চলে এসেছে। আর লোকাল সেলাইন তো তৈরিই হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের যা চিকিৎসা দেওয়ার আমরা তার বাইরেও সচেতনতামুলক কাজও করে যাচ্ছি। আমরা টেলিভিশনে দেই, পত্রিকায় দেই মাইকিংও করছি। যে কাজটি সিটি করপোরেশনের সেইটিও আমরা করছি। হাসপাতালটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত এইচ ই পার্ক ইয়াং সিক, হাসপাতালটির বাস্তবায়ন সংস্থা কোয়িকার ভাইস প্রেসিডেন্ট লি ইউন ইয়াং, স্বাস্থ্য সেবা খাতের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা খানম, কোয়িকার দেশ পরিচালক তেয়ং কিম, (ডিজিএইচএস) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের সিএমও ডা: সুরজিৎ দত্তসহ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।