ঢাকা ১২ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
মিডফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার বিচার দ্রুত করা হবে : আসিফ নজরুল গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে দুই মাসে নিহত ৭৯৮ ফিলিস্তিনি মা-বাবার পর মারা গেছে দগ্ধ শিশু রাফিয়াও কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়ায় কেন্দ্রসচিবসহ ছয়জনকে অব্যাহতি পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৫ বাংলাদেশির মৃত্যু সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানালো তদন্তকারীরা বিএনপির ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন চার দশকের সংঘাতের অবসান, অস্ত্র ধ্বংস করছে পিকেকে

যেসব লক্ষণে বুঝবেন হাড়ক্ষয়

#

লাইফস্টাইল ডেস্ক

০২ অক্টোবর, ২০২২,  12:33 PM

news image

৪৫ থেকে ৫০ বছর পার হওয়ার পর মানুষের শরীরে হাড়ের সমস্যাগুলো দেখা দেয়। হাড় ক্ষয় ও ফুলকো হওয়ার মতো সমস্যাগুলোও দেখা দেয়। মারাত্মক হাড়ক্ষয়ে হাঁচি বা কাশি দিলেও তা ভেঙে যেতে পারে। পুরুষ বা নারীদের দেহের হাড় সাধারণত ২৮ বছর বয়স পর্যন্ত ঘনত্বে বাড়ে; ৩৪ বছর পর্যন্ত তা বজায় থাকে। এরপর থেকে হাড়ক্ষয় হতে থাকে।

যাদের হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি তাদের হাড়ের ঘনত্ব দ্রুত কমতে থাকে। নারীদের মাসিক-পরবর্তী সময়ে হাড়ক্ষয়ের গতি বেগবান হয়। এছাড়া অনেক কারণ বা স্বাস্থ্য ঝুঁকি হাড়ক্ষয়ের আশঙ্কা বাড়াতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম। 

হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি

অসংশোধনযোগ্য ঝুঁকি

* বয়োবৃদ্ধি

* স্ত্রী লিঙ্গ

* জিনগত ত্র“টি

* অপারেশনের কারণে ডিম্বাশয় না থাকা

* হায়পোগোনাডিজম (পুরুষ ও মহিলার)

* অতি খর্বাকৃতি

সংশোধনযোগ্য ঝুঁকি

* ভিটামিন ডি’র ঘাটতি

* ধূমপান

* অপুষ্টি (ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, কে ইত্যাদি)

* ক্ষীণকায় দৈহিক আকার

* আমিষনির্ভর খাদ্যাভ্যাস

* বেশি বয়সে অতিরিক্ত চা, কফি, চকোলেট গ্রহণের অভ্যাস।

* খাদ্যে বা বাতাসে ভারী ধাতু

* কোমল পানীয় ও মদ্যপান

মেডিকেল ঝুঁকি

* দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা

* স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন [বাংলাদেশের রোগীদের মাঝে এটি খুব ব্যাপক; বিশেষ করে অস্বীকৃত/ আস্বীকৃতদের দ্বারা নির্দেশিত হয়ে যারা ওষুধ সেবন করছেন। প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির (কবিরাজি, আয়ুর্বেদি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি ইত্যাদি) মাঝে স্টেরয়েডের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি।]

* অন্যান্য হরমোন জনিত রোগ : হাইপারথাইরয়ডিজম, হাইপারপ্যারাথাইরয়ডিজম, কুসিং সিন্ড্রম, ডায়াবেটিস, এক্রমেগালি, অ্যাডিসন রোগ, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, এসএলই, কিডনি অকার্যকারিতা ইত্যাদি।

উপসর্গ

প্রথমত কোনো শারীরিক লক্ষণ নাও থাকতে পারে। কোমরে বা পিঠে বা অন্য কোথাও ব্যথা, বিশেষ করে তা ব্যথানাশকে কমেছে না, এমন চরিত্রের। কারও কারও দৈহিক উচ্চতা কমে যাবে, কুঁজো হয়ে যাওয়া বা সামনে ঝুঁকে থাকা। সঙ্গোপনে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার হল, মেরুদণ্ডে ফাটল বা চিড় ধরা এবং ঠুনকো আঘাতেই হাড় ভাঙা।

শনাক্তকরণ

অনেক রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হতে পারে : কিছু ঘনত্ব পরিমাপের জন্য, কিছু আবার ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করার জন্য। বিএমডি পরীক্ষা এ কাজে সবচেয়ে ভালো।

চিকিৎসা

এ রোগে প্রধান ও প্রথম পদক্ষেপ হবে ঝুঁকি শনাক্তকরণ, সম্ভব হলে তা রহিত করা। বেশ ওষুধ পাওয়া যায় সেগুলোর কোনো একটি নির্দিষ্ট রোগিণী বা রোগীর জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।

যেহেতু হাড়ক্ষয় (অস্টিওপরোসিস) একবার হলে আর পেছন দিকে যাওয়ার আশঙ্কা ক্ষীণ, তাই একে আগেভাগেই রোধ করার জাতীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসূচি নিতে হবে। এর অংশ হিসেবে কারা কতটুকু ঝুঁকিতে আছেন বা কারা এরই মধ্যে হাড়ক্ষয়ে ভুগছেন, তা নির্ধারণ করতে হবে এবং উপযোগী চিকিৎসা নির্বাচন ও প্রয়োগ করতে হবে।

হাড়ক্ষয় রোধে নিুলিখিত পদক্ষেপগুলোর বিবেচনা করা যেতে পারে-

* নিয়মিত ব্যায়াম

* স্টেরয়েডসহ ক্ষতিকারক ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকা

* পুষ্টি নিশ্চিতকরণ

* ধূমপান ত্যাগ

* প্রয়োজনে পরিমিত ক্যালসিয়াম সেবন

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম