ঢাকা ১৩ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
অতিরিক্ত সচিব আরিফুজ্জামানসহ ৩ জনকে ওএসডি মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: গ্রেপ্তার টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে এদেশে চাঁদাবাজদের কোন ঠাঁই হবে না সাতক্ষীরায় এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম রাজসাক্ষী হওয়ায় ক্ষমা পেয়ে গেছেন সাবেক আইজিপি মামুন বিএনপিতে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজের স্থান হবে না: দুলু ভাঙারি দোকান দখল নিয়েই ব্যবসায়ীকে হত্যা: পুলিশ দিল্লিতে ভবন ধস, দুইজনের মৃত্যু হত্যার ২ দিন পর ভিডিও সামনে এনে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা: যুবদল সভাপতি সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহিতার পথে প্রথম পদক্ষেপ: প্রেস সচিব গলাচিপায় নলুয়াবাগী খাল দখল, জলাবদ্ধতায় কৃষকের সর্বনাশ: সুইস গেটের আশ্বাস

যেভাবে দোয়া করা নিষিদ্ধ

#

১১ মে, ২০২৩,  10:43 AM

news image

দোয়া সব ইবাদতের মগজ। যে আল্লাহর কাছে দোয়া করে না, আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত হন। আকাশ-বাতাস, গ্রহ-নক্ষত্র সব কিছুর মালিক তিনি। তিনিই সবার পালনকর্তা ও রিজিকদাতা। মানুষের যেকোনো চাওয়া-পাওয়া পূরণ করার ক্ষমতা একমাত্র তিনিই রাখেন। এ জন্য আমাদের উচিত জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ করা। যেকোনো প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা।

আল্লাহর কাছে দোয়া করার কিছু আদব আছে। যেনতেনভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত নয়। এমন কোনো শব্দ সেখানে ব্যবহার করা উচিত নয়, যা আল্লাহ অপছন্দ করেন। রাসুল (সা.) স্বীয় উম্মতদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন যে কী ধরনের শব্দে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত নয়। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো:

তোমার ইচ্ছা হলে আমাকে দান করো : নবীজি (সা.) তাঁর উম্মতদের এ ধরনের বাক্য দ্বারা দোয়া করতে নিষেধ করেছেন। তাই মুমিনের জন্য দোয়ায় এ ধরনের বাক্য ব্যবহার করা উচিত নয়।

আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন দোয়া করে, সে যেন দৃঢ়তা প্রকাশের সঙ্গে দোয়া করে। আর সে যেন না বলে, ‘হে আল্লাহ, যদি তুমি ইচ্ছা করো, তবে আমাকে দান করো।’ কেননা মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য কোনো বাধ্যকারী নেই। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭০৪)

ইহকালেই শাস্তি প্রার্থনা করা : অনেকে আবার পরকালীন শাস্তি থেকে বাঁচার আশায় ইহকালেই নিজের শাস্তি কামনা করে। এটা বান্দার ওপর কঠিন বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই আল্লাহর কাছে শাস্তির দোয়া না করে; বরং ক্ষমাপ্রার্থনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ইহকালে শাস্তির দোয়া করার ভয়াবহতা নিয়ে একটি হাদিস রয়েছে, সেখানে নবীজি (সা.) এক সাহাবিকে এ ধরনের দোয়া করতে নিষেধ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) একজন মুসলিম রোগীকে সেবা করতে গেলেন। সে (অসুখে কাতর হয়ে) অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল, এমনকি সে পাখির ছানার মতো হয়ে গেল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বলেন, তুমি কি কোনো বিষয় প্রার্থনা করছিলে অথবা আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে কিছু চেয়েছিলে? সে বলল, হ্যাঁ। আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহ, আপনি পরকালে আমাকে যে সাজা দেবেন তা এই ইহকালেই দিয়ে দিন। সে সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সুবহানাল্লাহ, তোমার এমন সামর্থ্য নেই যে তা বহন করবে? অথবা তুমি তা সহ্য করতে পরবে না। তুমি এমনটি বললে না কেন? হে আল্লাহ, আমাদের কল্যাণ দাও পৃথিবীতে এবং কল্যাণ দান করো পরকালেও। আর জাহান্নাম থেকে আমাদের রক্ষা করো। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তখন তিনি তাঁর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আর আল্লাহ তাকে সুস্থ করে দেন। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭২৮)

মৃত্যু কামনা করা : অনেক সময় মানুষ ঋণের বোঝা, বিপদাপদ বা অসুস্থতায় হতাশ হয়ে মহান আল্লাহর কাছে মৃত্যু কামনা করে দোয়া করে বসে, যা একদম উচিত নয়। রাসুল (সা.) তাঁর উম্মতদের কঠিন বিপদেও মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ করেছেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আনাস (রা.)-এর সনদে নবী (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যেন বিপদে পড়ার কারণে মৃত্যু আকাঙ্ক্ষা না করে। তবে যদি মৃত্যু তার কামনা হয়, তাহলে সে যেন বলে, ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে জীবিত রাখুন যতক্ষণ পর্যন্ত আমার হায়াত আমার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি আমার জন্য মৃত্যু কল্যাণকর হয়, তবে আমাকে মৃত্যু দিয়ে দিন।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৭০৭)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে এবং মৃত্যু আসার আগে যেন মৃত্যুর জন্য দোয়া না করে। কেননা তোমাদের কেউ মারা গেলে তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। আর মুমিন লোকের বয়স তার কল্যাণই বাড়িয়ে থাকে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭১২)

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম