ঢাকা ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
নিজের সই করা জুলাই সনদ লঙ্ঘন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা: সালাহউদ্দিন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ কী রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে যাত্রাবাড়ীতে চোর সন্দেহে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা লকডাউনের নামে আ.লীগ মানুষ পুড়িয়ে মারছে: রিজভী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন বাথরুম পরিপাটি রাখার ৭ কৌশল ফরিদপুরে মহাসড়কে আ.লীগের অবরোধ, শিশুদের হাতেও দেওয়া হয়েছে অস্ত্র অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ

যাত্রাবাড়ীতে চোর সন্দেহে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ নভেম্বর, ২০২৫,  3:37 PM

news image

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগে চোর সন্দেহে নির্যাতনের শিকার কিশোর বাপ্পি (১৫) মারা গেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে তাকে মারধর করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাস্তায় ফেলে রেখে গেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে পুলিশ বাপ্পির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।  এর আগে বাপ্পির মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ফৌজিয়া রওশন আক্তার প্রীতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  নিহত বাপ্পি বাগেরহাটের শরণখোলার কদমতলা গ্রামের রিকশাচালক শাহজাহান ও কারখানাকর্মী পারুল বেগমের ছেলে। সে ধোলাইপাড়ের প্রেমগলিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত। সেও একই কারখানায় কাজ করত। বাপ্পির বড় ভাই পারভেজ জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে স্থানীয় কাপশি রাসেল, মোল্লা শুভ ও শাকিব তাদের বাসায় এসে অভিযোগ করে, বাপ্পি এক বাসা থেকে টাকা ও প্রিপেইড কার্ড চুরি করেছে। এরপর তারা বাপ্পিকে জোর করে মীরহাজীরবাগের আবু হাজী মসজিদ গলির এক বাড়ির নিচতলার ‘ক্লাব ঘরে’ নিয়ে যায়। সেখানে রাতভর বাপ্পিকে পেটানো হয়। বুধবার সকালে তাকে আবার বাসায় এনে চুরির জিনিসপত্র চাওয়া হয়। কিছু না পেয়ে আবার নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। বিকেলে নিস্তেজ অবস্থায় তাকে সড়কে ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। বাপ্পির বাবা শাহজাহান বলেন, আমার ছেলে যদি অপরাধ করেও থাকে, তাহলে পুলিশের হাতে দিত। এমন নির্যাতনে মেরে ফেলল কেন? যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, চোর সন্দেহে কিশোর বাপ্পিকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম