ঢাকা ১৬ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ৪ ৩য় টি-টোয়েন্টি আজ: বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘ফাইনালে’ চাপে শ্রীলঙ্কা গোপালগ‌ঞ্জে এন‌সি‌পির সমা‌বে‌শে হামলা-সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি আমরা গোপালগঞ্জের নাম বদলাতে আসি নাই: নাহিদ ইসলাম হাজিদের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে সোহাগ খুন হন গোপালগঞ্জকে সঙ্গে নিয়েই নতুন বাংলাদেশ গড়বো: তাসনিম জারা গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা, বোমাবাজি রাজস্ব আদায়ে বড় ধাক্কা, যে কারণ দেখালেন এনবিআর কর্মকর্তা প্রাথমিকে ৭৩ হাজারের বেশি শূন্য পদে শিগগিরই নিয়োগ

মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার : মির্জা ফখরুল

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ মে, ২০২৩,  4:17 PM

news image

অবৈধ অনির্বাচিত দখলদার সরকারের অধীনে বাংলাদেশ এখন প্রায় ধ্বংস রাষ্ট্রের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে পতিত হচ্ছে। অর্থনীতিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার কারণে তাদের (সরকারের) দুর্নীতির কারণে আজ জনগণের জীবন দুঃসহ হয়ে পড়েছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে অধিকারগুলো অর্জন করেছিলাম, সেই অধিকারগুলো পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে।’ গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ বুধবার (৩ মে) দুপুরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সাথে আলোচনা শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। মির্জা ফখরুল এসময় আরও বলেন,

দ্রব্যমূল্য অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে, শান্তি শৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি; এখানে লুটপাট ও একই সাথে ব্যাংকগুলোকে পুরোপুরিভাবে খালি করে দেওয়া, দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে দিয়ে অর্থব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাত, শিক্ষাখাত সবকিছুতেই একটি নৈরাজ্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের ন্যূনতম যে অধিকার, ভোট দেওয়ার অধিকার, কথা বলার অধিকার, আমাদের স্বাধীন মত প্রকাশের যে অধিকার, তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে অধিকারগুলো অর্জন করেছিলাম, সেই অধিকারগুলো পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে, একটি মাত্র উদ্দেশ্য তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা আবারো প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেটা তারা করতে চেয়েছিল ১৯৭৫ সালে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সত্যিকার অর্থে দেশে যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সেই দলগুলোর সাথে আমরা এক জোট হয়ে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি; গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, আমাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে আমরা যে দাবিগুলো দিয়েছি তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ। আমরা নির্বাচনকালীন সময় দেখেছি এখানে নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে জনগণ ভোট দিতে পারে না। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের দুটি নির্বাচন দেখেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে।

সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে, সেই দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যারা আমাদের সহযোগি তাদের সাথে আমরা আলাপ-আলোচনা শুরু করেছি। ইতোমধ্যে অনেকগুলো দলের সাথে আমরা আলোচনা করেছি। আজকে কর্নেল অলি আহমেদ আমাদের সাথে আলোচনা করতে এসেছেন। আজকের আলোচনা আমাদের শেষ নয়। আবার তার দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথেও আলোচনা করবো। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বলেন, আমরা যুগপৎ আন্দোলন করে যাচ্ছি। এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে মুক্ত করার আন্দোলন। এলডিপির প্রেসিডেন্ট  বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। ঘরে বাইরে কোথাও তারা শান্তিতে থাকতে পারছে না। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে পারছে না। সাংবাদিকরাও লিখতে পারে না। কারণ আইন করে তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য দেশ স্বাধীনতা করা হয়নি। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ করি নাই। মুক্তযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল প্রত্যেকটি মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করবে এবং তারা ভোট দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করবে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম