মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশ দূতাবাস বেলজিয়ামে বিশৃঙ্খলা: বিএনপির প্রতিবাদের মুখে আওয়ামী নেতারা বিতাড়িত
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 4:27 PM

NL24 News
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 4:27 PM
মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশ দূতাবাস বেলজিয়ামে বিশৃঙ্খলা: বিএনপির প্রতিবাদের মুখে আওয়ামী নেতারা বিতাড়িত
ইয়াছির আরাফাত খোকন : ব্রাসেলস, ২১ ফেব্রুয়ারি: বেলজিয়ামে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দূতাবাস কর্তৃপক্ষের উন্মুক্ত আমন্ত্রণের সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা সেখানে উপস্থিত হলে, বিএনপির নেতা-কর্মীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদের ছোট ভাই হাসান মোর্শেদ, আওয়ামী লীগের দুই অংশের সভাপতি সহিদুল ইসলাম সহিদ ও বজলোর রশীদ ব্লু, যুবলীগের সভাপতি খালেদ মিনহাজসহ আরও অনেকে। দুই পক্ষে উপস্থিতিতে হট্টগোল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিএনপি বরাবরই বলে আসছে যে, রাষ্ট্রীয় দূতাবাস কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয় নয়, বরং এটি সমগ্র জাতির সম্পদ। তাই বিএনপির পক্ষ থেকে আগেই দূতাবাস কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছিল যে, রাজনৈতিক পক্ষপাত এড়িয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠান পরিচালনা করা উচিত। কিন্তু দূতাবাস প্রশাসন এই অনুরোধ আমলে নেয়নি। ফলে, বিএনপির নেতা-কর্মীরা আওয়ামী নেতাদের উপস্থিতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেয় এবং জোরালো প্রতিবাদ জানায়। এতে এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং বিএনপির প্রতিরোধের মুখে আওয়ামী লীগ নেতারা বাধ্য হয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। ৫ই আগস্টের পর আওয়ামী লীগের দূতাবাসে প্রবেশের নৈতিক অধিকার নেই বিএনপি মনে করে, ৫ই আগস্টের পর আওয়ামী লীগের আর দূতাবাসে আসার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। কারণ, তারা অতীতে দূতাবাসকে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছিল এবং প্রবাসীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করেছিল। বিএনপির নেতা-কর্মীদের মতে, প্রবাসে আর সেই অপসংস্কৃতি চলতে দেওয়া হবে না। দূতাবাসে আওয়ামী লীগের প্রবেশ মানে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য সাধন করা, যা জনগণ মেনে নেবে না। বেলজিয়াম বিএনপির নেতারা বলেন, “আমরা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে চাই। যারা স্বৈরাচারী শাসনের ধারক ও বাহক, তাদের বিতাড়িত করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। দূতাবাস কোনো দলের নয়, এটি সকল প্রবাসী বাংলাদেশির সম্পদ।” স্থানীয় প্রবাসীদের প্রতিক্রিয়া এ ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই মনে করছেন, দূতাবাসের উচিত ছিল দলীয় পক্ষপাত এড়িয়ে নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করা। অন্যদিকে, বিএনপির নেতা-কর্মীরা এটিকে তাদের জন্য একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন, যা প্রমাণ করে যে জাতীয়তাবাদী চেতনা প্রবাসেও শক্ত অবস্থানে রয়েছে।