ভুল রক্তে প্রসূতির মৃত্যু: সেই হাসপাতালের পরিচালকসহ ৬ সহযোগী কারাগারে
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৫ আগস্ট, ২০২২, 2:21 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি
২৫ আগস্ট, ২০২২, 2:21 PM
ভুল রক্তে প্রসূতির মৃত্যু: সেই হাসপাতালের পরিচালকসহ ৬ সহযোগী কারাগারে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে জনসেবা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি শিরিন বেগমের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় ওই হাসপাতালের পরিচালক বন্যা বেগমসহ (৩১) তার ৬ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যা ব-১। এসময় ভিকটিমের চিকিৎসা সংক্রান্ত ও হাসপাতাল পরিচালনার মেয়াদোত্তীর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে তাদের গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৩ আগস্ট রাতে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বড়নগর রোড বালীগাঁও গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যা ব। বুধবার (২৪ আগস্ট) রাতে গ্রেফতারকৃত সব আসামিকে কালীগঞ্জ থানায় হস্থান্তর করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে নিহতের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান খান। গ্রেফতাকৃতরা হলো হাসপাতালের পরিচালক বন্যা আক্তার, মো. আশিকুর রহমান (২৫), সংগীতা তেরেজা কস্তা (৩৩), মেরী গোমেজ (৪০), সীমা আক্তার (৩৪) ও শামীমা আক্তার (৩২)। এদিকে, নিহত প্রসূতি শিরিন উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। তিনি সদ্য নবজাতক ছাড়াও ১০ বছরের দুটি যমজ ছেলে সন্তানের মা ছিলেন। এসআই মশিউর রহমান খান বলেন, ‘গ্রেফতাকৃত সবাইকে গাজীপুর আদালতে তোলা হবে। আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী বিচার কাজ চলমান থাকবে।’ এসআই আরও বলেন, ‘ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি নারীর মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। পরে জনসেবা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক বন্যা বেগম ও ৫ সহযোগীকে গ্রেফতার করে র্যা ব।’ উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট ওই প্রাইভেট ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিরিন নামের প্রসূতির মৃত্যু হয়। রক্তশূন্য প্রসূতি ওই রোগীর এবি পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন থাকলেও তাকে পুশ করা হয় বি পজেটিভ রক্ত। এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনজুর-ই-এলাহী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী ডাক্তার সানজিদা পারভীনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন ডা. মুনমুন আক্তার, মো. এমরান (অ্যানেস্থেসিয়া)। কমিটিকে তিন কর্মদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়।