ঢাকা ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
৭ দাবিতে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের সমাবেশ ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে শীত রোববার ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় পিকনিক বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু আমদানির সাড়ে তিনগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ সম্পদের হিসাব জমা না দিলে সরকারি চাকরিজীবীদের যেসব শাস্তি হতে পারে জুলাই বিপ্লবে গুলিবিদ্ধ বাবুকেও নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে পরীমণির প্রথম স্বামী

ভারতের মন্দিরে ‘চরণামৃত’ ভেবে এসির পানি পানের হিড়িক

#

০৫ নভেম্বর, ২০২৪,  4:43 PM

news image

ভারতের উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনের বিহারী মন্দিরে দেবতার চরণামৃত ভেবে এসির পানি পানের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গেছে মন্দিরের দেয়ালে লাগানো হাতির মূর্তির গা বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। এ পানি পানের জন্য ভিড় করেছেন পুণ্যার্থীরা। অনেকেই হাতে ধরে সেই পানি পান করছেন। অনেকে আবার কাপে ভরে চুমুক দিয়ে পানি পান করছেন।

ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, যারা পানি পান করছেন তাদের উদ্দেশে কেউ একজন বলছেন, ‘ওই জল খাবেন না। ওটা চরণামৃত নয়। মন্দিরের পূজারিরা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ওটা এসির পানি।’ তবে এ কথাতে কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা এ পানি পান করেই যাচ্ছেন, অনেকে এ পানি আবার মাথাতেও ছিটাচ্ছেন।

ভিডিওটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। কেউ এটি লিখেছেন, ‘এদের অবিলম্বে শিক্ষিত করা দরকার। চরণামৃত ভেবে এসির পানি কি করে খেতে পারেন!’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘‘সবাই করছে বলেই করতে হবে। এদের এমনই কুসংস্কার যে, কোনো কাজ করার আগে নিজের যুক্তি, বুদ্ধিকে একবারও কাজে লাগাবে না। ভারতীয়রা কি এতটাই অশিক্ষিত!’

লিভার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সংস্থা ‘দ্য লিভার ডক’-ও ভিডিওটি শেয়ার করেছে। তারা লিখেছে, ‘দয়া করে এসির পানি খাবেন না। এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমে প্রচুর ছত্রাক বাসা বেঁধে থাকে। তার মধ্যে কিছু ছত্রাক অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর মধ্যে লেজিওনেয়ার্সের মতো কিছু ভয়ানক ব্যাকটেরিয়াও রয়েছে। যা শরীরে প্রবেশ করলে মস্তিষ্ক সঞ্চালনে সমস্যা হতে পারে। এমনকি, স্নায়ুপেশিরও ক্ষতি করতে পারে।’

তবে কেউ কেউ ওই কুসংস্কারে উসকানি দেওয়ার দায় চাপিয়েছেন ওই মন্দির কর্তৃপক্ষের ওপরেও। তাদের বক্তব্য, কুসংস্কারের মাত্রা দেখলে অবাক হতে হয়। আরও অদ্ভুত বিষয় হলো, কথাটা মন্দিরের পূজারিরা শুধু মুখে না বলে একটি লিখিত নোটিশ তো ওখানে লাগিয়ে দিতে পারতেন। সেটা না করে মন্দির কর্তৃপক্ষও বিষয়টিতে উসকানি দিচ্ছেন নাকি? 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম