ঢাকা ২২ অক্টোবর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
পাবনায় ১৪৪ ধারা জারি মাইযব এর ১৪তম বার্ষিকী উদযাপন এবং এআই-পাওয়ারড ডিজিটাল পণ্যের উদ্বোধন আন্দোলনের কারণে সড়কের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করে শপথের লঙ্ঘন করেছেন: আইন উপদেষ্টা সরকারি ৬ ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ আশুলিয়ায় বোকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ রাষ্ট্রদূত হলেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী দক্ষিণ আফ্রিকার দাপুটে বোলিংয়ে ১০৬ রানেই অলআউট বাংলাদেশ ‘হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, পদত্যাগপত্রের ভূমিকা নেই’

ব্যাংক পুনর্গঠনে আসছে রোডম্যাপ

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ আগস্ট, ২০২৪,  4:02 PM

news image

এস আলম, সালমান এফ রহমানসহ বিগত সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নামে-বেনামে কত টাকা ঋণ আত্মসাৎ করেছেন তার সঠিক হিসাব হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনর্গঠনের ব্যাপারেও উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে এতে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে অঢেল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন, যার সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলছে। এই আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার উপরে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এতে বলা হয়, ‘এই ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ইতিমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে এবং ইতিমধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদগুলো পুনর্গঠন করা হয়েছে।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে। নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে। ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইউই, সিআইডি ও দুদকের সহায়তা গ্রহণ করে আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। অর্থ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সব আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কার্যক্রমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়, আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশ থেকে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ব্যাংকগুলোর এই পুনর্গঠন এবং আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সরকার খুব দ্রুতই একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করবে, যারা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠনের জন্য ছয়মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম