ঢাকা ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এখনো পুড়ছে কড়াইল বস্তি, নিয়ন্ত্রণে ১৯ ইউনিট দেশের কৃষিজমি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৩৩ নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত: রিজভী উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা ৭০ বছর বয়সে কোরআন হিফজ করলেন সৌদি নারী শাজাহানপুরে এক নারীর ঝুলন্ত ও তার দুই সন্তানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ বিসিএস প্রার্থীদের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফশিল: ইসি সানাউল্লাহ

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তায় ফের পানি বৃদ্ধি, বন্যার শঙ্কা

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  11:33 AM

news image

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তায় পানি আবারও বেড়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যা ৬টায় তা কমে বিপৎসীমার নিচে নেমে যায়। পানির প্রবাহ বাড়তে থাকায় তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে থাকা হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করে। তলিয়ে যায় আমন ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষেত। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, রোববার গভীর রাত থেকে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকে। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোয় পানি উঠে যায়। গোবর্ধন এলাকার আব্দুর রাজ্জাক বলেন,

‘বাহে, চলতি বছরে চারবার বন্যা হইল। ঘরবাড়ি তলে যাচ্ছে।’ নদীপারের মানুষ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।  লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি থাকার আশঙ্কা থাকায় নিম্নাঞ্চলগুলোতে স্বল্পমাত্রার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। পানি ওঠানামার কারণে কোথাও কোনো ভাঙন দেখা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিধান হালদার জানান, পানি সাময়িক বাড়লেও শঙ্কা নেই। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। 

পানি বাড়ার খবরে তিস্তার দুই পারের মানুষের মাঝে আবারও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখনও আতঙ্কে রয়েছে প্রায় ১২ হাজার পরিবার। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল ৬টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির স্তর রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার। ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চলের অনেকে পরিবারসহ গবাদি পশু নিয়ে নিরাপদ স্থলে আশ্রয় নেন। পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। পানি কমলেও যে কোনো সময় পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠতে পারে। সূত্র : সমকাল 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম