বাইতুল মামুর জামে মসজিদে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন
০৬ নভেম্বর, ২০২১, 8:44 PM
NL24 News
০৬ নভেম্বর, ২০২১, 8:44 PM
বাইতুল মামুর জামে মসজিদে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন
রাঙামাটি প্রতিনিধি : যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বাইতুল মামুর জামে মসজিদের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করেছে রাঙামাটি কাপ্তাই ব্যাঙছড়ি মুসলিম পাড়া এলাকাবাসী।সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুর দিন ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বব্যাপী ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন করেন। শনিবার (৬ নভেম্বর ) বিকেলে এক বার্তায় ব্যাঙছড়ি মুসলিম পাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদ কমিটি সভাপতি আব্দুল সাক্তার তিনি জানান, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষে মসজিদে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সন্ধ্যা থেকে শ,শ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিয়ে পবিত্র কোরআন শরিফ খতম জিকির-আজগার ও ব্যাঙছড়ি এলাকায় ছেলে মেয়ে কণ্ঠে পবিত্র মিলাদ শরিফ পাঠ শেষে সব মুসলমানদের জন্য দোয়া-মোনাজাতে মহান রাব্বুল আলামিন এবং উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিশেষ রহমত মুবারক কামনা করেন। মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মিজান উদ্দিন বলেন, কাপ্তাই ব্যাঙছড়ি মুসলিম পাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদের পবিত্র ১২ রবিউল আওয়াল উপলক্ষে বেশ কিছু কর্মসূচি উদযাপন করা হয়। সেগুলো হলো বিশেষ ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল, প্রিয় নবীজির জীবনী নিয়ে রচিত বই প্রদর্শনী, সুন্নতিদ্রব্যের প্রদর্শনী, শতাধিক সু-সজ্জিত ২৫০ প্যাকেট তাবারক বিতরণ ও প্রিয় নবীজির আকিকা হিসেবে গরু, জবাই করা হয়। এ সময় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মাওলানা খলিলুর রহমান,বিশেষ অতিথি, মাওলানা জাহেদুল ইসলাম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাঙছড়ি মুসলিম পাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদ কমিটি নেতৃবৃন্দ এবং কাপ্তাই উপজেলা বিভিন্ন এলাকা মহল্লা যুব নেতারা। মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন, ব্যাঙছড়ি মুসলিম পাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদ মাওলানা আব্দুল আজিজ। এ সময় মাহফিলে প্রধান অতিথি বলেন, ১২ রবিউল আওয়াল সকল ঈদের সেরা ঈদ। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সারা বিশ্বের ন্যায় রাঙামাটি জেলায় কাপ্তাই ব্যাঙছড়ি মুসলিম পাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদে উদযাপন করা হয়। মানবতার মুক্তির অগ্রদূত হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই পৃথিবীতে মানবজাতির মুক্তির জন্য ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছেন।” তিনি আরোও বলেন,আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করতে এই দিনে তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে এসেছিলেন এ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী প্রত্যেক মানুষের কাছে আজকের দিনটি তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় ইসলামের সঠিক জ্ঞান আহরণ করে সঠিকভাবে তা মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান।