
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ আগস্ট, ২০২৩, 5:25 PM

বড় সুনামি ছাড়া ঘাড়ের পাথর সরানো যাবে না : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোন সংবিধানের কথা বলে আওয়ামী লীগ? এটা তো আওয়ামী লীগের তৈরি করা সংবিধান, যে সংবিধানে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। আওয়ামী লীগের একটি সমস্যা, তারা মনে করে এ দেশের মালিক আওয়ামী লীগই। এর ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে হলে বড় একটা ঝাঁকুনি দরকার, সংগ্রাম, যুদ্ধ দরকার। বড় সুনামি ছাড়া আমাদের ঘাড়ে যে পাথর চেপে বসে আছে তা সরানো যাবে না। বুধবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নাগরিক সাংবিধানিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা শীর্ষক’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ (নুরপন্থী)। মির্জা ফখরুল বলেন, আমার কষ্ট হয়, যখন কোনো নারী শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়। কারণ, তখন তার সহকর্মীরা কোনো আন্দোলন করে না। আমরা কিন্তু পাকিস্তান আমলে আন্দোলন করেছিলাম। এখনকার তরুণদের মধ্যে তা দেখি না। তিনি বলেন, এক তরুণকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম বড় হয়ে কি হতে চাও? তখন সে বলে রাজনীতিবিদ হতে চাই। প্রশ্ন করি কেন? সে বলে এখানে অনেক টাকা! তাহলে বোঝেন কি পর্যায়ে গেছে তরুণদের ভাবনা। ফখরুল বলেন, পরিবর্তন যদি আনতে হয় তরুণরা ছাড়া সম্ভব নয়। আজকে লড়াই, সংগ্রাম, যুদ্ধ সবই করতে হবে তাদের। আওয়ামী লীগ নেতাদের স্মরণ করিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৭৩ দিন হরতাল করেছে আওয়ামী লীগ। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১১ জনকে গান পাউডার দিয়ে হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগ। তাদের কি একবারও মনে পড়ে না। শিষ্টাচার বলতে আওয়ামী লীগের মধ্যে এমন কোনো জিনিস নেই, তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সন্ত্রাসীদের মতো। তারা আমাদের এককভাবে গালি দেয়। ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের তো পুরোটাই মিথ্যার ওপর, সবকিছু আওয়ামী লীগের মিথ্যার ওপর তৈরি করা। তাদের মন্ত্রীরা যা নির্দেশ দেয় তাই প্রকাশ করা হয়। কোনোকিছু অবশিষ্ট নেই তো, কোনটি বাকি আছে এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, দেখা যায় একজন শিক্ষামন্ত্রীর নামে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ ওঠে, ব্যাংক থেকে বিশেষ বিবেচনায় ২২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এটা কোন দেশ। এই দেশে যদি আমরা পরিবর্তন না আনতে পারি, তাহলে এদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম, এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, সমমনা জোটের প্রধান সমন্নয়ক অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপি চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম, আবু হানিফ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম প্রমুখ।