নেত্রকোণায় বন্যায় সড়কের ক্ষতি ১৪১ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৬ জুলাই, ২০২২, 11:54 AM
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৬ জুলাই, ২০২২, 11:54 AM
নেত্রকোণায় বন্যায় সড়কের ক্ষতি ১৪১ কোটি টাকা
এবার পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় নেত্রকোণায় সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ১৪১ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নেত্রকোণা কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে জেলার দশ উপজেলার মধ্যে একটি বাদে (পূর্বধলা) নয় উপজেলায় এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় ৮.৪৭ কিলোমিটার সড়ক ও ২০ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। কলমান্দায় ২৫ কিলোমিটার সড়ক ও ৩৯০ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। মদনে ৪৩ কিলোমিটার সড়ক ও ১৬০ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। মোহনগঞ্জে ২৫.৯৬ কিলোমিটার সড়ক ও ৫ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২২ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। খালিয়াজুরীতে ২০.২০ কিলোমিটার সড়ক ও ৬ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। আটপাড়ায় ২১.৭৭ কিলোমিটার সড়ক ও ৩ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। কেন্দুয়ায় ৫.৩০ কিলোমিটার সড়ক ও ২৮ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সদর উপজেলায় শুধুমাত্র ৩.৯৯ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। বারহাট্টা উপজেলায় ২৮.৮৪ কিলোমিটার সড়ক ও ৪১০ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ক্ষতির পরিমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খালিয়াজুরী উপজেলায়। এ উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। এরপর মদন উপজেলায় ক্ষতি হয়েছে ২৯ কোটি ২০ লাখ টাকার সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে মোহনগঞ্জ উপজেলা। মোহনগঞ্জে ২২ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকার সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম সেখ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষয়ক্ষতির এ তালিকার পাশাপাশি মেরামতের প্রয়োজনীয় চাহিদা চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার পর দ্রুত এসব ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও সেতু মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।