নিউমার্কেট সংঘর্ষ: বিএনপি নেতা মকবুলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ এপ্রিল, ২০২২, 2:44 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ এপ্রিল, ২০২২, 2:44 PM
নিউমার্কেট সংঘর্ষ: বিএনপি নেতা মকবুলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার নিউমার্কেট থানা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে নিউমার্কেট থানা থেকে মকবুলকে ঢাকার বিচারিক আদালতে নেওয়া হয়। ওই সময়ে ৭ দিনের রিমান্ডে চেয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদের আদালতে মকবুলের রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়। আদালতের জিআর শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। মকবুল হোসেন সরদার নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক সংঘর্ষে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গতকাল শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিজবাসা থেকে মকবুলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলা করে পুলিশ। সে মামলায় মকবুল ১ নম্বর আাসামি। গোয়েন্দা তদন্ত রিপোর্ট বলছে, ঘটনা শুরুর পর থেকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে দিতে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী দুই মহলকেই উসকে দিয়েছেন মকবুলসহ বিএনপির আরও কয়েকজন নেতাকর্মী। যে দুই ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারীদের বিবাদে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল, সেগুলোর মালিক মকবুল। গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপি নেতা মকবুল আইন পেশায় নিযুক্ত থাকায় ওই মামলায় নিজের ও অন্য আসামিদের আগাম জামিন করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রোববার তারা জামিনের জন্য আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। জামিন নিয়ে তারা সবাই পালিয়ে যেতেন। এ জন্য মামলার কয়েকজন আসমির সঙ্গে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় একটি বৈঠকও করেছেন মকবুল।’ গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিনগত মধ্যরাতে নিউ মার্কেটের দোকানমালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে পরদিন মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দিনভর ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের রেশ থাকে বুধবার (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত। ওই সংঘর্ষে একজন ডেলিভারিম্যান ও এক দোকান কর্মচারীর মৃত্যু হয়। আহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ। সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন ১৫ জনের মতো সাংবাদিক।