দ. আফ্রিকায় ৫ বছরের কম বয়সীদের করোনায় আক্রান্তের হার বৃদ্ধি
০৪ ডিসেম্বর, ২০২১, 1:56 PM
NL24 News
০৪ ডিসেম্বর, ২০২১, 1:56 PM
দ. আফ্রিকায় ৫ বছরের কম বয়সীদের করোনায় আক্রান্তের হার বৃদ্ধি
দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু, টিনেজার। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার একদিনে সেখানে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৫৫ জন। মারা গেছেন ২৫ জন। এ খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই। এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কমিউনিক্যাবল ডিজিজেজের (এনআইসিডি) ড. ওয়াসিলা জাসাত বলেছেন, অতীতে আমরা দেখেছি করোনা মহামারিতে শিশুরা ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয়নি।
তাদেরকে হাসপাতালেও তেমন ভর্তি হতে হয়নি। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে অধিক পরিমাণ শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখেছি। এদের বয়স ৫ বছর থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। এখন শুরু হয়েছে চতুর্থ ঢেউ। এ সময়ে এই বয়সসীমার শিশুদের আক্রান্তের হার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এই আক্রান্তের হার বেশি। তিনি আরো বলেছেন, ৫ বছরের কম বয়সীদের আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ফলে বর্তমানে আমরা যে প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি, তা আগের যেকোনো পরিস্থিতির চেয়ে আলাদা। ৫ বছরের কম বয়সীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। এর কারণ অনুসন্ধানে আরো গবেষণা করা হবে বলে জানান তিনি। বলেছেন, চতুর্থ ঢেউয়ের এখন প্রাথমিক পর্যায়। এবার শুধু শিশু, কিশোরদের মধ্যে সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এই বয়সী শিশুদের ওপর নজরদারি করে আমরা সামনের দিনগুলোতে এ সম্পর্কে আরো জানতে পারবো। এ অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গুটেং প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ড. নতসাকিসি মালুলেকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিদিন যে পরিমাণ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন, তার মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই এই প্রদেশের। এ কারণে কম বয়সী বাচ্চা এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী জো পাহলা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ৯টি প্রদেশে করোনায় আক্রান্ত এবং পজেটিভের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেছেন, শুধু ফ্রি স্টেট এবং নর্দান কেপ-এ বর্তমানে আক্রান্তের হার কম। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্ক ছড়ানো করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়েছে এই দক্ষিণ আফ্রিকায়ই।