ঢাকা ৩০ আগস্ট, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
আল্লাহ ছাড়া কেউ এই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: সালাহউদ্দিন তৌহিদ আফ্রিদি কারাগারে রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে অস্ত্রসহ ৬ যুবক গ্রেপ্তার উল্লাপাড়ায় বাইচের নৌকার সঙ্গে বরযাত্রীর নৌকার সংঘর্ষ, নিহত ২ ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ, নিহত ৩ ফোনে নুরের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস টেকসই উন্নয়নের জন্য জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট হারল বাংলাদেশ নুরের ওপর হামলার নিন্দা ও তদন্তের নিশ্চয়তা প্রেস সচিবের নুরের ওপর হামলা সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: অ্যাটর্নি জেনারেল

দৌলতখান উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়রা সিদ্দিকার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

০৪ আগস্ট, ২০২৫,  1:07 PM

news image

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়রা সিদ্দিকা গত ২ জানুয়ারী ২০২২ দৌলতখান উপজেলায় যোগদান করে ফ্যাসিষ্ট সরকারের লোকজনের সাথে আতাত করে  দুর্নীতি ও অপকর্মের মাধ্যমে বহাল তবিয়তে আছেন। সরকার কর্তৃক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রনোদনার সার ও বীজ ভূয়া বলি ভাউচার করে কৃষি অফিসার হুমায়রা সিদ্দিকা টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযোগে রয়েছে এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার অফিস প্রধান উচ্চমান সহকারী মোঃ রেজাউল করিম ও অফিসের কর্মচারী হিমাংসু চন্দ্র দেবনাথ। হুমায়রা সিদ্দিকা উপজেলায় যোগদানের পরপরই সরকারের আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে তছনছ শুরু করেন। অফিসের অন্যান্য অফিসারদের নাজেহাল ও বিভিন্ন কারনে অকারনে কোনঠাসা করেন। 

কথায় কথায় তৎকালীন এমপি আলী আজম মুকুলের দোহাই দিয়ে সবাইকে দামিয়ে রাখতেন। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ-১ মৌসুমের আউশ ধানের বীজ ১০ হাজার কেজি (১০ টন) বীজ মেসার্স মিজান ট্রের্ডাস এর নামে বলি করে ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। এবং একই অর্থ বছরে খরিপ-২ আমন মৌসুমে আমন ধানের বীজ ৪০২০ কেজি (৪.২ টন) একই ভাবে  মিজান ট্রেডার্স এর নামে ভুয়া বলি ভাউচার করে- ২,২১১০০ (দুই লক্ষ একুশ হাজার একশত টাকা) আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, দৌলতখান উপজেলায় মিজান  ট্রেডার্সের নামে কোন সার ও বীজের দোকান নাই। 

২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রনোদনা র্কমসূচীর আওতায় সমলয় চাষাবাদের জন্য দৌলতখান উপজেলার কলাকোপা ব্লকে ব্লক প্রদর্শনীর কৃষকের জন্য ১২৮৮০০ ( বার লক্ষ আটাশি হাজার টাকা) সরকারের রাজস্ব খাত থেকে বরাদ্দ দেন। উক্ত প্রণোদনায় কৃষকের বীজ উৎপাদন করার জন্য ৫০ একর জমিতে  ৪৫০০ ট্রে ক্রয় করার জন্য ৫,৪০০০০ (পাঁচলক্ষ চল্লিশ হাজার ) টাকা বরাদ্দ দেন । উপজেলা কৃষি অফিসার বীজ ট্রে ক্রয় না করে কৃষি যান্ত্রিককরণ প্রকল্প অত্র উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ২০০০ টি বীজ ট্রি ফ্রি দেয়া হয় । সেই ফ্রি বীজ ট্রে এবং পাশের বোরহানউদ্দিন উপজেলা হতে হাওলাত করে বীজ ট্রে এনে বীজ উৎপাদন কাজ সম্পন্ন করেন। ট্রে ক্রয় বাবদ যে ৫,৪০০০০ ( পাঁচলক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা) বরাদ্দ দিয়েছে তা হুমায়রা সিদ্দিকা ভুয়া বলি ভাউচার করে টাকা আত্মসাৎ করেন।

দৌলতখান উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করার জন্য মাঠ দিবস বরাদ্দ দেয়া হয়। কোন কোন মাঠ দিবসের জন্য ১০ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্ত হুমায়রা সিদ্দিকা সকল মাঠ দিবস বাস্তবায়ন না করে একটি মাঠ দিবসে একাধকি ব্যানার টানিয়ে ছবি তুলে অন্যান্য মাঠ দিবসের টাকা নিজে আত্মসাৎ করনে।

বরিশাল অঞ্চলের ৭ জেলা কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৩ শতাংশ ও ১ একর জমির  প্রদর্শনীর জন্য টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। । প্রতিটি প্রদর্শনীতে কৃষকের ফসলের  আন্তপরিচর্যা বাবদ ৩০০০ হাজার টাকা থেকে ৫০০০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। উক্ত টাকা কৃষককে না দিয়ে ৭৫০ টাকার ১ টি স্প্রে মেশিন দিয়ে বাকি টাকা হুমায়রা সিদ্দিকা আত্মসাত করেন। 

খামার যান্ত্রিককরণ প্রকল্প হতে গরীব কৃষকদরে জন্য ৭০% ভুর্তুকি মূল্যে ধান কাটার মেশিন হারভষ্টোর বরাদ্দ দেন। সে ২ বছরে ৪৫ টি হারভষ্টোর মেশিন বিতরণ করেন। অভিযোগ রয়েছে সে সাধারন কৃষকদেরকে হারভষ্টোর না দিয়ে মেশিন প্রতি ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৪৫ টি হারভষ্টোর বিতরন করেন। এমনও রয়েছে যে একই পরিবারে একাধিক হারভষ্টোর মেশিন প্রদান করছে। এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা সিদ্দিকার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম