ঢাকা ১৬ মে, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
এবার কোরবানির জন্য এক কোটি ২৯ লাখ পশু প্রস্তুত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে এক বিদ্যালয়ের ২৫ শিক্ষার্থী ২১ মে ব্যাংক বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন জয়ের বিরুদ্ধে মিষ্টি জান্নাতের যৌন হেনস্তার অভিযোগ ২৫০ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা ১০৮ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তন শেখ হাসিনাই করেছে: কাদের উপজেলা নয়, আগামীতে জেলাভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী বৃষ্টি কবে হবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

দাবদাহে বিপর্যস্ত দেশ, তাপমাত্রা উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ এপ্রিল, ২০২৪,  3:56 PM

news image

চুয়াডাঙ্গায় টানা কয়েক দিন ধরে ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জের প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার আজ সোমবার বেলা ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪৩ ডিগ্রি। একই সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। দক্ষিণ-পশ্চিমের এই জেলায় এই মৌসুমে এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান সমকালকে বলেন, আজও সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডটি চুয়াডাঙ্গার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে এপ্রিল মাসে এ পর্যন্ত ১২ দিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে। জেলা শহর ও আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে জনগণের চরম অস্বস্তি ভাব চোখে পড়েছে। পৌরসভাধীন সমুরদিয়া গ্রামে বেলা দেড়টার দিকে তপ্ত দুপুরে মাথায় গামছা বেঁধে ইট ভাটায় কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন কালাম মিয়া। গরমে ভাটায় কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যত গরমই পড়ুক। কাজ আমাকে করতেই হবে। কাজ না করলে খাবো কি?’ সংসার চলবে কিভাবে? 

ভালাইপুরের চাতাল শ্রমিক কাসেদ বলেন, আমার জীবনে এমন গরম কখনো দেখেননি। গরমের কারণে গা-হাত-পা জ্বলে যাচ্ছে। রোদ পড়তে দেখেছি। কিন্তু এতো তাপ দেখি নাই। কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তারপরও কাজ করতে হয়। স্কুল শিক্ষক রবিন হোসেন বলেন, ‘আগের তাপ-গরমের সঙ্গে এখনকার ঋতুর রদবদল হয়ে গিয়েছে। এই রোদ-গরমে চলাফেরা করা যাচ্ছে না।’ তীব্র দাবদাহ ও ভাপসা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এতে কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। মানুষের পাশাপাশি এই দাবদাহে ভালো নেই প্রাণিকুলও। তীব্র দাবদাহ থেকে রেহাই পেতে পথেঘাটে, ফুটপাতের নোংরা পানিতে বা নালা-নর্দমায় সময় কাটাতে দেখা গেছে ভাসমান অনেক প্রাণীকে। পরিবেশবাদী সংগঠন পানকৌড়ির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি স্কুল শিক্ষক বখতিয়ার হামিদ জানান, খাদ্যসংকটের পাশাপাশি তীব্র দাবদাহে প্রাণিকুলের অবস্থাও নাজুক। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়ায় বিভিন্ন নালা-নর্দমায় গা ভিজিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় বেওয়ারিশ কুকুরসহ বিভিন্ন প্রাণীকে। প্রচণ্ড গরমে এই অসহায় প্রাণীদের পাশে কেউ নেই বললেই চলে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম