ঢাকা ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে এ সরকার দায়িত্বশীল : নাহিদ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের সেই আবেদ আলীকে আদালতে কাঁদলেন সাবেক মন্ত্রী কামাল মজুমদার অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টাস্কফোর্স বাঁশ দিয়ে গুলশান-মহাখালীর রাস্তা আটকে দিলো তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা ভোটাধিকার হারিয়ে যাওয়ার কারণেই গণঅভ্যুত্থানের অবতারণা: ইসি সানাউল্লাহ বিক্ষোভ-আন্দোলন যাই হোক, গুলি করে হত্যা বন্ধ করতে হবে: রিজভী আ.লীগ দেশকে জাহান্নামে পরিণত করতে চেয়েছিল: জামায়াত আমির সাত অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে বিএসটিআই'র মামলা বাংলাদেশের খুন-গুমের জননী শেখ হাসিনা: প্রেস সচিব

তোফাজ্জল হত্যা: পুলিশের অভিযোগপত্রে নারাজি ঢাবি প্রশাসনের

#

ঢাবি প্রতিনিধি:

০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,  2:59 PM

news image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় পুলিশের দাখিলকৃত অভিযোগপত্র নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলার তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি দাবি করে আদালতে নারাজি দাখিল করা হয়েছে ঢাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অ্যাডভোকেট সেলিম জাবেদ এ নারাজি দাখিল দাখিল করেন। দুপুরে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।  এদিন তোফাজ্জলের ফুফাতো বোন আসমা আক্তার আদালতে হাজির হয়েছেন। তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান বলেন, বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নারাজি দাখিল করেছেন। আমরা চাচ্ছি, আদালত যেন অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেন। জানা যায়, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। পরে মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তাকে মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন দুপুরে শাহবাগ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। মামলাটি তদন্ত করে গত ৩০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর মো. আসাদুজ্জামান। অভিযোগপত্রে প্রতিষ্ঠানের ২১ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, ভূগোল বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ। ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, ওয়াজিবুল আলম, ফিরোজ কবির, আব্দুস সামাদ, শাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন ও আব্দুল্লাহহিল ক্বাফি। তাদের মধ্যে প্রথম ৬ জন আদালতে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম