তিন দফা দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ মার্চ, ২০২২, 3:05 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ মার্চ, ২০২২, 3:05 PM
তিন দফা দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ
ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে রেখেছেন। ফলে রাস্তাটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ১২টা ১০ মিনিটের দিকে নীলক্ষেত সড়ক অবরোধ করেন তারা। কর্মসূচিতে ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের স্নাতক (১৭-১৮, ১৮-১৯, ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা) সেশনের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, ‘আমাদের ইনকোর্স পরীক্ষা নেওয়া হয় কিন্তু মূল নম্বরের সঙ্গে এটা যোগ করা হয় না।
দর্শন বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী আছে তাদের প্রশ্নের মানবণ্টন পরিবর্তন করতে হবে এবং সাত কলেজে যেভাবে গণহারে ফেল করিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটার বিষয়ে সুষ্ঠু ও স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না। প্রয়োজন হলে আমরণ অনশনে বসব।’ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে সিজিপিএ শিথিল করা হয়েছে। এবার করোনাকালীন সময় বিবেচনা করে শেষবারের মতো প্রয়োজনে লিখিত নিয়ে মানবিক বিবেচনায় ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের সব বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদেরকে পড়ার টেবিলে বসার সুযোগ করে দিতে হবে। তা না হলে, এখানেই আমাদের শিক্ষা জীবনের ইতি টানতে হবে।’ আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ও সাত কলেজের নানা সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে লিখিত আকারে ডকুমেন্ট রেখে শেষবারের মতো ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের সব বিভাগের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদেরকে মানবিক দৃষ্টিতে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিয়ে পড়ার টেবিলে বসার সুযোগ দিন, এটাই আমাদের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি।’
শিক্ষার্থীদের ৩ দাবি হলো-
১. করোনা সংক্রমণের কারণে সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে ১ম, ২য়, এবং ৩য় বর্ষের (১৯-২০, ১৮-১৯, ১৭-১৮) প্রকাশিত সকল বিভাগের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিতে হবে।
২. দর্শন বিভাগের প্রশ্নের মানবণ্টন পরিবর্তন করতে হবে, ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৮০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হবে এবং ২০ নম্বর ইনকোর্স এর মাধ্যমে যোগ করতে হবে।
৩. গণহারে ফেল করার কারণ ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং এর স্থায়ী সমাধান করতে হবে।