ঢাকা ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহকদের জন্য সুখবর দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা কাল সারা দেশে কারিগরি শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশের ঘোষণা ‘প্রশাসনের পক্ষ’ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনসিপি-বিএনপির আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কঠোর নির্দেশ এক দল সরিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণ-অভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ ট্রাম্প-মোদি-শি নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ: মির্জা ফখরুল নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি ফ্যাসিবাদীদের বিদায় হয়েছে, ফ্যাসিবাদ এখনো যায়নি: জামায়াতের আমির চার থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: সাংবাদিক কাজলের বিচার শুরু

#

০৮ নভেম্বর, ২০২১,  12:11 PM

news image

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক তিন মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ফলে এসব মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। সোমবার (৮ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তার বিরুদ্ধে আভিযোগ গঠন করেন। এসময় সাংবাদিক কাজল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য গত ২১ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে দিন ধার্য ছিল। এদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইকবাল হোসেন অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। গত বছরের ১১ মার্চ রাজধানীর চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলে সীমান্তের সাদিপুর মাঠ থেকে শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি। পরদিন ৩ মে অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরে কোতোয়ালী মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই থেকে কারাগারে ছিলেন কাজল। এর আগে কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ১০ মার্চ শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। একই আইনে কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী আরও দুটি মামলা করেন। পৃথক মামলায় গত ৩ মে থেকে কারাগারেই ছিলেন সাংবাদিক কাজল। তিন মামলায় জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় গত ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট কাজলের জামিন প্রশ্নে রুল দেন। রুলের শুনানি শেষে তিনি ২৪ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। এদিকে কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার মামলায় এর আগে ৩ নভেম্বর হাইকোর্ট কাজলের জামিন প্রশ্নে রুল দিয়েছিলেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৭ ডিসেম্বর তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে ২৫ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান। এ তিন মামলাই কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম