জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জানুয়ারি, ২০২৩, 1:59 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জানুয়ারি, ২০২৩, 1:59 PM
জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী
দেশে আবারও সহিংসতার চেষ্টা করছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। গত শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) গণমিছিলের অনুমতি না থাকলেও হঠাৎ করেই রাজধানীতে মিছিল বের করে দলটি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দলটির হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রোববার (১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে প্রশ্ন করা হয়, জামায়াতে ইসলামী দেশে আবারও সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে-এ ব্যাপারে জনগণের দাবি অনুসারে জামায়াত নিষিদ্ধে নির্বাহী আদেশ দেয়া হবে কিনা? এ প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি মন্ত্রী। প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সেটি আপনারা দেখবেন (সাংবাদিক)।’ তিনি বলেন, দেশে যে দলই সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলার পথ বেছে নেবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণকে দেয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়নে চেষ্টা করব। তিনি বলেন,
বর্তমান সরকার এখন নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। এটা সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। গণতন্ত্রের বিকাশ শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে। আর এ সরকার এদেশের গণতন্ত্রের শিকড়কে শক্ত করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের কাছে, বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যেসব অঙ্গীকার রয়েছে সেগুলো শেষ করা, বলেন মন্ত্রী। এ সময় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে জানিয়ে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন সঠিক সময়ে শেষ হবে আর কেউ যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়, সেটি তাদের ব্যাপার। তবে ভোটাধিকার প্রয়োগে কেউ যদি বাধা দেয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে এবং ২০২৪ সালের শুরুতে যে নির্বাচন হবে, আমরা আশা করব সব দল তাতে অংশগ্রহণ করবে। উন্নয়নের ধারা ও পথে রাখা এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিজ্ঞা পূরণ করাই লক্ষ্য। শেখ হাসিনার সরকারের দায়বদ্ধতা জনগণের কাছে। যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা পালন করা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। এর পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধন বাতিলের পর ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলটির অনেক সিনিয়র নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।