গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে টিআইবির বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ এপ্রিল, ২০২২, 5:35 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ এপ্রিল, ২০২২, 5:35 PM

গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে টিআইবির বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, টিআইবির বিবৃতি গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জনে সহায়ক নয়, বরং অন্তরায়। শুক্রবার (১ এপ্রিল)রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে টিআইবির বিবৃতি কেন’ -এ প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন,নিজেদের কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সব বিষয়ে বিবৃতিদান টিআইবির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সংসদীয় কমিটিতে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধন হবে। এটা টিআইবির কোনও বিষয় নয়। এ সত্ত্বেও বিবৃতি দিয়ে তারা বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে, যা এ প্রক্রিয়ায় সহায়ক তো নয়ই, বরং অন্তরায়। ড. হাছান বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিক,
গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য। এটা দুর্নীতির কোনও বিষয় নয়। আর আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেছে।সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এটি পরিবর্ধন-পরিমার্জন করা হবে। তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আমার আলোচনাও হয়েছে। টিআইবি আগ বাড়িয়ে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে।এর মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে। তিনি বলেন, ‘নিজেদের কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সব বিষয়ে কথা বলা টিআইবির একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি, তাদের এ বিবৃতি গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধনের ক্ষেত্রে সহায়ক তো নয়ই বরং অন্তরায় হবে।’ এসময় সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ 'ডাকাতের সরকারে পরিণত হয়েছে, টিসিবি কার্ডও দলীয়করণ করেছে’ এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে ন্যায্য প্রাপ্যতার ভিত্তিতেই এক কোটি পরিবারকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে। যাতে পাঁচ কোটি মানুষ উপকারভোগী। এখানে আমাদের দলীয় কোনও নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। জনপ্রতিনিধিরা, যারা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বিভিন্ন দল থেকেই রয়েছেন, তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আসলে সব কিছুর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খোঁজাই বিএনপির সমস্যা।’ ড. হাছান যোগ করেন, ‘আসলে, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দেয়ায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসায় ও জনগণ সাধুবাদ দেয়াতে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তারা উদভ্রান্তের মতো কথা বলছেন।’ মির্জা ফখরুল সাহেব ইদানিং যে ভাষায় কথা বলছেন তা সিনিয়র রাজনীতিকের ভাষা নয় এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগকে ডাকাত বলেছেন, আসলে তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিশ্বডাকাতে পরিণত হয়েছিলেন এবং সেজন্য তাদের হাতে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।