খোসপাঁচড়ার উপসর্গ ও জটিলতা
০৬ মার্চ, ২০২৫, 10:34 AM

NL24 News
০৬ মার্চ, ২০২৫, 10:34 AM
খোসপাঁচড়ার উপসর্গ ও জটিলতা
অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি রোগের নাম স্ক্যাবিস বা খোস পাঁচড়া, যা সারকপটিস স্ক্যাবি নামক ক্ষুদ্র মাইট দ্বারা হয়। মাইট উকুনের মতো ছোট জীবাণু। এটি কোনোও যৌনরোগ নয়।
কীভাবে ছড়ায় যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে, সেহেতু খুব সহজেই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হয়। সাধারণত একই বিছানায় শোয়া বা ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে থাকলে, একই কাপড়-চোপড় ব্যবহার করলে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে।
ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে থাকার ফলে মাইট আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে আবার আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড়-চোপড় ব্যবহারের মাধ্যমেও রোগ ছড়িয়ে পড়ে। কারণ মাইট আমাদের শরীরের বাইরে অর্থাৎ কাপড়-চোপড়, কাঁথা-বালিশ, আসবাবপত্রে ২-৩ দিন বেঁচে থাকতে পারে।
রোগ চেনা যায় যেভাবে :
ত্বকের ওপর অনেকসোজা অথবা ‘ঝ’ আকারের কালো সুতার মতো ছোট ছোট রেখা দেখতে পাওয়া যায়, এটাকে বারো বলে। এ রেখার শেষভাগে ছোট পানিযুক্ত ছোট দানা থাকে। এ দানাগুলোই মাইটদের আবাসস্থল। এখানেই এরা ডিম পাড়ে।
উপসর্গ :
প্রধান উপসর্গ হলো সারা শরীর চুলকানো। এ চুলকানি বিশেষত রাতের বেলায় বেশি হয়। রাতের বেলা বিছানার গরমের জন্য মাইটগুলো চামড়ার নিচে চলাচল করতে শুরু করে, ফলে রাতের বেলা বেশি চুলকানি অনুভূত হয়। চুলকানোর ফলে নখের আঁচড়ে চামড়া উঠে যায়। এ জন্য অনেকের শরীরে আঁচড়ের বিভিন্ন দাগও পাওয়া যায়।
আক্রান্ত স্থান :
আক্রান্ত স্থানে দানা দেখা যায়। স্থানগুলো হলো- হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে, কবজিতে, কনুই ও কনুইয়ের সম্মুখ ভাগে, স্তনের বোঁটায়, নাভি, তলপেট এবং যৌনাঙ্গের আশপাশে এবং শরীরের ভাঁজগুলোতে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাত ও পায়ের তলায় ও গালেও দেখা যায়।
জটিলতা :
সময়মতো চিকিৎসা না করালে চামড়া ও কিডনির সমস্যা দেখা দেয় যেমন- একজিমাটাইজেশন : অর্থাৎ চামড়া কালো ও পুরু হয়। ইমপেন্টিগো দানাগুলো ব্যাকটেরিয়া দিয়ে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করে।
ফোঁড়া :
ত্বকে অনেকদিন ধরে স্ট্রেপ্টোকক্কাল ইনফেকশনের কারণে কিডনির মারাত্মক জটিলতা যেমন- একুইট গ্লোমারিউলো নেফ্রাইটিস হয়।
প্রতিকার :
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ পরিহার করা। খোস পাঁচড়ার জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে, ব্যবহার করলে খোস পাঁচড়া সেরে যায়। প্রাথমিক অবস্থায় করলে ভালো।
লেখক : চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, গ্রীন লাইফ হাসপাতাল, গ্রীনরোড, ঢাকা।