খোলপটুয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে হাতাহাতি, পুলিশের ব্যাচ ছিড়লেন যুবদল নেতা
০৮ মে, ২০২২, 6:40 PM

NL24 News
০৮ মে, ২০২২, 6:40 PM

খোলপটুয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে হাতাহাতি, পুলিশের ব্যাচ ছিড়লেন যুবদল নেতা
বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের খোলপটুয়া মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলাকে কেন্দ্র করে একজন দর্শক ও একজন খেলোয়ারের মধ্যে বাক বিতান্ডার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাটি পরবর্তীতে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এসময় আইনশৃংখলার দ্বায়িত্বে থাকা এক পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালালে তার ব্যাচ খুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই যুবদল নেতার নাম মো. রাজিব হোসেন রাজু। তিনি বামনা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক পদে রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার খোলপটুয়া নদীতীরের বাটা সংলগ্ন খেলার মাঠে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানাগেছে, রামনা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এর আয়োজনে নীরব নাহিদ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচে দুইটি দল অংশ গ্রহন করেন। তারা হলেন, বামনা-বুকাবুনিয়া একাদশ ও রামনা-ডৌয়াতলা একাদশ।
বামনা উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক রাজিব হোসেন রাজু রামনা-ডৌয়াতলা একাদশের গোল রক্ষক হিসাবে খেলছিলেন। খেলায় বামনা-বুকাবুনিয়া একাদশ তাদের পরপর ৩টি গোল দিলে ওই কিপার রাজুকে পরিবর্তন করে অন্য একজনকে ওঠানো হয়। খেলা শেষে এঘটনা নিয়ে বামনা উপজেলা ছাত্রলীগ সহ সভাপতি মো. ইউনুস বিশ্বাসের সাথে তার কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হয়। পরে ওই ঘটনাটি উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনাস্থলে আইন শৃংখলার দ্বায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা উভয়কে ছত্রভঙ্গ করতে চেষ্টা চালায়। এসময় ওই যুবদল নেতা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এতে রতন নামে একজন এএসআই এর ইউনিফর্মে থাকা ব্যাচ ছিড়ে ফেলেন তিনি। পরে বিষয়টি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মিমাংসার চেষ্টা চালালিয়ে ব্যার্থ হন। তবে এ ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশের পক্ষে ওই যুবদল নেতার বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ইউনুস বিশ্বাস জানায়, স্থানীয় বিএনপি নেতার আয়োজনে এই ফুটবল ম্যাচ দেখতে সবার সাথে তিনিও মাঠে যান। খেলা কেন খারাপ হয়েছে বিষয়টি জানতে ওই যুবদল নেতা রাজুরকে জিজ্ঞাসা করতেই সে তার ওপর চরাও হয়। পরে পুলিশ আসলে সে তাদেরকেও না মেনে আমার দিকে তেড়ে আসে। তখন এক পুলিশ সদস্যকে সে আঘাত করে এবং তার পোশাকে থাকা ব্যাচ ছিড়ে নেয়। এ ব্যাপারে পুলিশের এএসআই রতন জানান, সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. লিটন জানায় গন্ডগোল শেষ হওয়ার পরে তিনি গিয়ে দেখতে পায় ওই পুলিশ সদস্যের র্যাংক ব্যাচ ছিড়ে গেছে। অভিযুক্ত ওই যুবদল নেতা মো. রাজিব হোসেন রাজুর ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. আবুল হোসেন শরিফ বলেন, আমি ছুটি শেষে যোগদান করার পরে বিষয়টি অবগত হয়েছি। খেলা নিয়ে ঝামেলায় রাজু নামে একটি ছেলে নাকি এএসআই রতন এর ব্যাচ ছিড়ে ফেলেছিলো। তবে বিষয়টি স্থানীয়রা মিমাংসা করেছেন বলে শুনেছি। বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বশিরুল আলম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এবিষয়টি তার নলেজে নেই।