ঢাকা ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এখনো পুড়ছে কড়াইল বস্তি, নিয়ন্ত্রণে ১৯ ইউনিট দেশের কৃষিজমি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৩৩ নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত: রিজভী উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা ৭০ বছর বয়সে কোরআন হিফজ করলেন সৌদি নারী শাজাহানপুরে এক নারীর ঝুলন্ত ও তার দুই সন্তানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ বিসিএস প্রার্থীদের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফশিল: ইসি সানাউল্লাহ

খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা বহাল, সংঘর্ষে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর

#

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  12:30 PM

news image

খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনা ও সহিংসতার প্রেক্ষিতে জেলাজুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ চতুর্থ দিনের মতো চলমান থাকলেও, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে কিছুটা যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ এখনও প্রায় অচল অবস্থায় রয়েছে। এ দিকে রোববার গুইমারায় সহিংসতায় নিহত তিন পাহাড়ির মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতেই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই রাতে তাদের দাহক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনী এবং ১০টি প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করেছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধারা তুলে নেওয়া হবে। সূত্র জানায়, সোমবার প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনকারী জুম্ম ছাত্র-জনতার ৬ প্রতিনিধি বৈঠক করেন। তারা বৈঠকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারসহ ৮ দফা দাবি পেশ করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হলেও বৈঠকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অনেকে আহত হন এবং গুইমারার রামসু বাজারসহ অনেক বাড়ি ও অফিস পুড়ে যায়।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম