ঢাকা ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সাতক্ষীরায় শিশু সন্তানকে পুড়িয়ে মারার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা নবীনগরে সুফিয়াবাদ ফাজিল মাদ্রাসায় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ঢাকা সফরে রাজি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আমরা এখন বেশি শক্তিশালী: ড. ইউনূস কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই : ডিএমপি কমিশনার ৪০৮ আরোহী নিয়ে ভারতে জরুরি অবতরণ করল বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট সুন্দর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছি: মিম সাফজয়ী নারী ফুটবল দলসহ ১৮ ব্যক্তিকে একুশে পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যে ইসলামবিদ্বেষী ঘৃণার রেকর্ডসংখ্যক অভিযোগ মা হচ্ছেন অভিনেত্রী স্বাগতা

করের আওতায় আসছেন গ্রামাঞ্চলের চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীরা: অর্থ উপদেষ্টা

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,  1:07 PM

news image

কর দেওয়ার মতো আয় করছেন, কিন্তু দিচ্ছেন না—জেলা-উপজেলা ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের এমন ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা বলেন। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রামে অনেকে অনেক আয় করছে বলে ডিসিরা জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কর দিচ্ছেন না। আমরা এখন কর সংগ্রহে জোর দিয়ে রাজস্ব বাড়াতে চাই। এ বিষয়ে এনবিআর এখন উদ্যোগ নেবে। তাদের একটি তালিকা ডিসিরা দেবেন। তিনি বলেন, দেশের সব চিকিৎসক এবং আইনজীবীরা যে ফি নেন, সেটা রশিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে এনে তাদেরও করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।  উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসক ও আইনজীবীরা সরাসরি ক্যাশ ট্রানজেকশন করেন৷ এর কারণে তাদের করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকরা যে ফি নেন, তার রিসিট তারা দেন না। এই ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়, তাহলে কিন্তু তার একটা রেকর্ড থাকে। বিদেশে সব এমনই থাকে, রেকর্ডেড। তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে। মাঠ পর্যায়ের অফিসাররা যদি দক্ষ এবং সেবক হন, তাহলে জনগণ যে সেবাটা পান সেটা কার্যকর হয়। আমাদের কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে উল্লেখ করে এ সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান বাড়ানো সহজ। চীনে গ্রাম্য শিল্পের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ। চীনের প্রত্যন্ত একটি গ্রামে তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকার ওয়ালমার্টেও পাবেন। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ জিনিসগুলো যোগাযোগের অভাবে উঠে আসে নাল। যোগাযোগ না থাকায় ব্যালেন্স উন্নয়নটা করা সম্ভব হবে না। সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ডিসিরা যে দুর্গম এলাকায় রয়েছেন, সেখানে তারা যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থার কথা বলেছেন। সঙ্গে এও জানিয়েছেন, এসএমই খাতে ছোট উদ্যোক্তা লোন পায় না। সেগুলো আমরা ব্যবস্থা নেব। উপদেষ্টা বলেন, গ্রামাঞ্চলে কৃষি কিন্তু এখন একটি বড় সোর্স। সেটা ঠিক না থাকলে আমরা এত মানুষকে খাওয়াতে পারতাম না। সেদিকে নজর দেওয়ার কথাও আমরা ডিসিদের বলেছি।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম