কনকনে শীতে কাবু পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে
নিজস্ব প্রতিনিধি
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, 11:04 AM
নিজস্ব প্রতিনিধি
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, 11:04 AM
কনকনে শীতে কাবু পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে
উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড় ঘন কুয়াশায় মোড়ানো। কনকনে শীতে একেবারে কাবু হয়ে পড়েছে স্থানীয় জনজীবন। রাতজুড়ে টিপটিপ কুয়াশা পড়ায় ভোর থেকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। প্রাত্যহিক কাজে বের হওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। মাঝে মাঝে উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দেয়। গত এক সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। গতকালও তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আজও একই তাপমাত্রা বিরাজ করছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ডিসেম্বরের বাকি দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা এক অঙ্কে নেমে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ধাক্কামারা এলাকার পথচারী অ্যাডভোকেট আব্দুল বারি বলেন, ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢেকে গেছে, রাস্তাঘাট ভিজে কাঁদামাটির মতো হয়ে আছে। কনকনে ঠান্ডায় মানুষ কষ্টে আছে। বিত্তবানদের কাছে শীতবস্ত্র বিতরণের আহ্বান জানাই। আরেক পথচারী আব্দুল মালেন বলেন, ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় শরীর জমে আসছে। হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যভাগ বা শেষে তাপমাত্রা এক অঙ্কে নেমে আসতে পারে। তখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, শীত মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় পাঁচটি উপজেলায় ৩০ লাখ টাকার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।