এলজিইডি’র জিডিপি-৩ প্রকল্পের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন
০৯ নভেম্বর, ২০২১, 1:17 PM
NL24 News
০৯ নভেম্বর, ২০২১, 1:17 PM
এলজিইডি’র জিডিপি-৩ প্রকল্পের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন
এ এস মুনীর : গ্রামীণ জনপদের নাগরিক জীবনের যোগাযোগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ‘বৃহত্তর ঢাকা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ (জিডিপি-৩ প্রকল্প) এর মাধ্যমে বৃহত্তর ঢাকার ৬ জেলাধীন ৩৪ উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠাকমো উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পধীন জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ। ১ জুলাই ২০১৭ থেকে ৩০ জুন ২০২৪ সাল নাগাদ প্রকল্পের মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৫৫৩ দশমিক ৮১ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও ১২৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়ক পুনর্বাসন/রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা। যার মধ্যে উপজেলা সড়ক ১০১ দশমিক ৬১ কিলোমিটার, ইউনিয়ন সড়ক ২৫২ দশমিক ৮১ কিলোমিটার ও গ্রামীণ সড়ক ৯৫০ দশমিক ৬২ কিলোমিটার। তাছাড়া ৩ হাজার ৪৩৪ দশমিক ৬ মিটার ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ করা এবং ১২ টি হাট বাজার বাস্তবায়ন করা। ১৭৬০ কোটি টাকা প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হলেও জনস্বার্থে প্রথম সংশোধনীর পর প্রকল্প ব্যয় প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩১ অক্টোবর’২১ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ৪৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত ভৌত অগ্রগতি প্রায় ২৮ ভাগ ও আর্থিক অগ্রগতি প্রায় ২৭ ভাগ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে প্রকল্প কার্যক্রমের সাথে যুক্ত একাধীক সূত্র প্রতিবেদককে জানায় বর্তমান প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো: আমিরুল ইসলাম খান এর গতিশীল নেতৃত্বে প্রকল্পের কর্মসূচী সফল বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রকল্প কর্মসূচী বাস্তবায়ন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো: আমিরুল ইসলাম খান প্রতিবেদককে বলেন পিপিআর অনুসরণ করে বৃহত্তর ঢাকা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প-৩ এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়নের অগ্রগতি সন্তোষজনক। এগতি অব্যাহত থাকলে এবং প্রকল্পের চাহিদা মোতাবেক টাকা বরাদ্দ পেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। উক্ত প্রকল্প কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। জনগণ আধুনিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আসবে। আর্থ-সামানিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রকল্পটি চালিকা শক্তি স্বরূপ কাজ করবে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশি জনগণ দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন এবং গ্রামীণ জনপদের হত দরিদ্র শ্রমজীবী কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে সুবিধাজনক বাজার খুঁজে নিতে পারবেন। যা তাদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভতা অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। গতিশীল হবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড। এছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ক্ষুদা-দারিদ্রমুক্ত সমাজ ও টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি গঠনে প্রকল্পটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে।