আবরার হত্যার রায়ে দেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ ডিসেম্বর, ২০২১, 3:52 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ ডিসেম্বর, ২০২১, 3:52 PM
আবরার হত্যার রায়ে দেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলরায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে (২২) পিটিয়ে হত্যা করার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেছেন, ‘আবরার হত্যা মামলার রায়ে দেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।’
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ২০ আসামির ফাঁসি ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণার পর বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে আদালত চত্বরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন। এর আগে, সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার বাকি তিন আসামি পলাতক। এরপর বেলা পৌনে ১২টায় তাদের এজলাসে তোলা হয়। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৪ মার্চ এ মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। গত ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পরের দিন ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এ মামলায় ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।