আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী: ইউনেস্কো সদর দপ্তরে দ্বিতীয় দিনের বিশেষ আয়োজন পরিসমাপ্তি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 5:01 PM

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 5:01 PM

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী: ইউনেস্কো সদর দপ্তরে দ্বিতীয় দিনের বিশেষ আয়োজন পরিসমাপ্তি
ইয়াছির আরাফাত খোকন, প্যারিস: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে প্যারিসে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে দ্বিতীয় দিনের মূল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য বিশেষ এই আয়োজনে গেস্ট অব অনার হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, "মানুষের পরিচয়ের মূলেই রয়েছে মাতৃভাষা। সবাইকে নিজের মাতৃভাষার গুরুত্ব বুঝতে হবে। অন্যথায় থ্রি জিরো তত্ত্ব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে না। কারণ, কাউকে পেছনে রেখে এগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে না।" অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের ভাষাবিদ, ভাষা বিশেষজ্ঞ এবং ইউনেস্কোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী এবং অতিরিক্ত সচিব নাফিজা সাইমা।ইউনেস্কোর রেজল্যুশন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক অর্জন১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২৬ মার্চ, বাংলাদেশ দূতাবাস, প্যারিসের উদ্যোগে ইউনেস্কোর নির্বাহী পর্ষদের ২১৯তম সভায় দিবসটির রজত জয়ন্তী পালনের জন্য একটি রেজল্যুশন উত্থাপন করা হয়, যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা বলেন ইউনোস্কো ৬৬টি সদস্য দেশের সমর্থনে গৃহীত এই রেজল্যুশনের ফলে ইউনেস্কো প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন পরিসমাপ্তি হয়েছে। তিনি এটিকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক অর্জন বলে উল্লেখ করেন।ভাষা সংরক্ষণ ও মাতৃভাষার গুরুত্ব এই আয়োজনের প্রথম দিন, ২০ ফেব্রুয়ারি, মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও প্রসারে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা ভাষাবিদ, ভাষা বিশেষজ্ঞ ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় উঠে আসে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর মাতৃভাষা-ভিত্তিক শিক্ষা এবং ভাষাকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান।সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও সমাপনী অনুষ্ঠান ২১ ফেব্রুয়ারি মূল আয়োজনে বিভিন্ন দেশের আয়োজনের পাশাপাশি বাংলাদেশি শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে।