আধিপত্যের দ্বন্দ্ব ও বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেনে খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ নভেম্বর, ২০২৫, 11:14 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ নভেম্বর, ২০২৫, 11:14 AM
আধিপত্যের দ্বন্দ্ব ও বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেনে খুন
রাজধানীর পল্লবী থানার যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলায় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। গ্রেপ্তাররা হলেনÑ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী মো. মনির হোসেন ওরফে সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ও মো. সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজন। তাঁরা মিরপুরকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ সক্রিয় সদস্য। আর হত্যাকাণ্ডটি সুপরিকল্পিত এবং বড় অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন তাঁরা। গতকাল বুধবার বিকালে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন,
গত সোমবার সন্ধ্যায় পল্লবী থানাধীন বিক্রমপুর সেনিটারি ও হার্ডওয়্যার দোকানে ছয়জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে বুকে ও পিঠে অতর্কিত গুলি করে গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করে। ঘটনার পরপরই র্যাব-৪ তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার রাতে সাভারের বিরুলিয়া এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী পাতা সোহেল এবং টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন মাজার বস্তি এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের সন্দেহজনক ও ১৮টি মামলার পলাতক সন্ত্রাসী বুকপোড়া সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাতা সোহেল অর্থ সরবরাহ করেছিলেন। তবে তিনি কীভাবে অর্থ পেয়েছেন কিংবা কার কাছ থেকে পেয়েছেন, সেটা এখনও পরিষ্কার না। গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, রাজনৈতিক কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে।
এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যাতে বড় অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয়। আসামিরা পেশাদার হত্যাকারী এবং তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পাতা সোহেলের নামে একাধিক হত্যা, ডাকাতি, মাদকসহ পল্লবী থানায় মোট আটটি মামলা রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে প্রশ্নে মাহবুব আলম বলেন, গোলাম কিবরিয়া একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য সচিব ছিলেন। এর আগে কিবরিয়ার যাঁদের সঙ্গে সখ্যতা ছিল, রাজনৈতিক মেরুকরণের পর সেই সখ্যতার বিরুদ্ধে তিনি কাজ করছিলেন। বিশেষ করে এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারিতে গোলাম কিবরিয়ার সাপোর্ট ছিল না। হয়তো এ কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য কিশোরকে হত্যা : রাজধানীর তুরাগের দিয়াবাড়ী এলাকায় মো. শান্ত’র গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেনÑ সামিদুল হক মনা, রবিউল ইসলাম রানা, হজরত আলি ও নয়ন মিয়া। কিশোর শান্তর নতুন অটোরিকশা ছিনতাই করতেই পরিকল্পিতভাবে তাঁকে দিয়া বাড়িতে আনা হয়। পরবর্তীতে রাতের অন্ধকারে গলা কেটে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেয় নিহতের পূর্বপরিচিতরা। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উত্তরা ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম। সূত্র : আমাদের সময়