
NL24 News
২৪ এপ্রিল, ২০২৫, 12:42 PM

অ্যানেসথেসিয়া ও অপারেশন সর্ম্পকে চিকিৎসকের সতর্কতা-করণীয়
শাহীন খন্দকার: বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেসথেসিওলজিষ্ট ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পেইন মেডিসিনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, অ্যানেসথেসিয়া সার্জারিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
তিনি বলেন, অ্যানেসথেসিয়া সার্জারিতে গুরুত্ব কতটা সেই সর্ম্পকে অনেকেরই ধারণা নেই। অ্যানেসথেসিয়া সর্ম্পকে ডা. দেবব্রত বলেন, ব্যাথামুক্ত সার্জারি করাকেই ক্লিনিক্যাল অ্যানেসথেসিয়া বলা হয়। এই অ্যানেসথেসিয়া প্রধানত ৩টি পদ্ধতিতে দেওয়া যায়। রোগীকে ব্যাথা মুক্ত অজ্ঞান করে, ব্যাথামুক্ত লাংস সার্পোট অর্থাৎ রেসপেরটি সার্পোট দিতে হয়। তবে বড় ধরনের অপারেশন করতে জেনারেল অ্যানেসথেসিয়া করতে হয়।
রিজিওনাল অ্যানেসথেসিয়া সর্ম্পকে বলেন, অন্ত:সত্ত্বা নারীদের সির্জারের সময় দেহের অর্ধেক অংশ অবশ করে সিজার করা হয়। লোকাল অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় বলা হয় ইনফিল্ট্রেশন অ্যানেসথেসিয়া বড় অপারেশনের ক্ষেত্রে এটি দেওয়া হয় না।
তবে যেখানে মাংস কম আছে, শরীরের যেকোনো সুপারফিশিয়াল জায়গায় ইনফিল্ট্রেশন অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া যায়। মনিটরিং অ্যানেসথেসিয়া হচ্ছে লোকাল ইনফিল্ট্রেশন ক্ষেত্রে রোগী উদ্বিগ্ন ভয় পাচ্ছে সেই ক্ষেত্রে রোগীকে শান্ত রাখতে এবং তার সব কিছু মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে যে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়। যেমন চোখের অপারেশনের সময় মনিটরিং অ্যানেসথেসিয়া বেশি প্রয়োগ করা হয়।
কারণ চোখের অপারেশনে রোগীদের চোখে চাপ দিলে অনেক সময় হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেজন্য একজন অ্যানেসথেসিস্টকে দাঁড় করিয়ে রেখে অপারেশন করা হয়। জেনারেল অ্যানেসথেসিয় সর্ম্পকে বলেন, ৩টি পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হয়। প্রথমত রোগীকে অজ্ঞান করা হয় ।
দ্বিতীয়তো করা হয় তৃতীয়তো ব্যাথামুক্ত করে লাংস সার্পোট অর্থাৎ রেসপেরটরিসার্পোট দিতে হয়। বড় ধরনের অপারেশনে জেনারেল অ্যানেসথেসিয়া লাগে। রিজিওনাল অ্যানেসথেসিয়া হচ্ছে শরীরের যে অংশে অবশ করতে হয় সেখানে দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে স্পাইনাল দেওয়া যায়, এপিডুরাল দেওয়া যায়। অর্থাৎ অন্ত:সত্ত্বা নারীদের সিজারের সময় শরীরের অর্ধেক অবশ করে সিজার করা হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় লোকাল অ্যানেসথেসিয়া হচ্ছে ইনফিল্ট্রেশন। ছোট অপারেশনের ক্ষেত্রে ছোট জায়গা অবশ করার জন্য দেওয়া হয়। যেস্থানে মাংস কম শরীরের যে কোন সুপারফিশিয়াল জায়গায় ইনফিল্ট্্েরশন অ্যানসথেসিয়া দেওয়া যায়।
এছাড়া চোখের অপারেশনের সময় মনিটরিং অ্যানেসথেসিয়া বেশী প্রয়োগ করার অন্যতম কারন চোখের অপারেশনে রোগীদের চোখে চাপ দিলে অনেক সময় হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যেতে পাওে সেজন্য একজন অ্যানেস্থেসিস্টকে দাড়ঁ করিয়ে রেখে অপারেশন করা হয়।
জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়ায় প্রধানত তিন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। রোগীকে অজ্ঞান করা হয়, ব্যথামুক্ত করা হয়, ব্যথামুক্ত করে লাংস সাপোর্ট অর্থাৎ রেসপেরটরি সাপোর্ট দিতে হয়। বড় ধরনের অপারেশনে জেনারেল অ্যানেসথেসিয়া লাগে।
চিকিৎসক দেবব্রত বণিক বলেন, সার্জারিতে অ্যানেসথেসিয়ার জন্যই সম্ভব এবং সার্জারিতে উৎকর্ষ সাধান করেছে। তিনি বলেন, নতুন নতুন ড্রাগ আবিস্কৃত হয়েছে বলেই কিডনী হৃদযন্ত্র, মস্তিস্ক, এমনকি চেহারা পরিবর্তনসহ জটিল অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে।
যে রোগীর অ্যানেসথেসিয়া যত ভালো হবে সার্জারি তত ভালো হবে। অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার সময় রোগীর যতো ফিজিওলজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি আছে তার সব গুলোই ঠিক আছে কিনা সে দিকেও চিকিৎসককে খেয়াল রাখতে হয়। অ্যানেসথেসিয়া মানে শুধু অজ্ঞান বা চেতনানাশ করা নয়।
অজ্ঞান করার পরে রোগীর প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রতঙ্গের কাজ কৃত্রিমভাবে চালানো অ্যানেসথেসিয়ার অংশ। প্রি-অপারেটিভ অ্যাসেসমেন্ট, পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার, আইসিইউ ম্যানেজমেন্ট, জটিল চিকিৎসা সবগুলোর সঙ্গেই অ্যানেসথেসিয়া জড়িত। অ্যানেসথেসিয়া ও জ্ঞান ফেরা প্রসঙ্গে ডা. বলেন, রিজিওনাল ও লোকাল অ্যানেসথেসিয়ায় সাধারণত জ্ঞান থাকেই। তাই এগুলোতে সামগ্রিকভাবে জ্ঞান ফেরার প্রশ্ন্ন নেই। কিন্তু যে জায়গাটি অবশ করা হয় সেখানে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে চেতনা ফিরে আসে।
সেটি যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার ওপর নির্ভর করে। রোগীর আগের শারীরিক অবস্থা সঙ্গে জ্ঞান ফেরার সময়ের সম্পর্ক আছে। যেমন, যাদের হাইপো থাইরয়েড থাকে তাদের ড্রাগ মেটাবলিজম কম হয়। ফলে কম ডোজেও তাদের শরীরে অনেকক্ষণ ওষুধের অ্যাকশন থাকে, চেতনা ফিরতে একটু সময় লাগে।
অ্যানেসথেসিয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা সর্ম্পকে ডা. দেবব্রত বণিক বলেন, রোগীকে যে ধরনের অ্যানেসথেসিয়াই দেওয়া হোক না কেন, সবক্ষেত্রেই একই রকম সতর্কতা অনুসরণ করতে হবে।