
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 1:49 PM

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা
সম্প্রতি এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর বাড়ার ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর উদ্বেগ প্রকাশ করে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টম্বর) অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এসব নির্দেশন জারি করেছেন।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-
১. ডেঙ্গু রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে এনএস-১ পরীক্ষা করতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলেকে এনএস-১/অ্যান্টিজেন কিটের জন্য সিএমএসডি অথবা সিডিসি সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। ২. ভর্তি রোগীদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা (ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজি) ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে করার ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. সব ওষুধ মজুতসাপেক্ষে হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করতে হবে। ৪. সব ডেঙ্গু রোগীদের একক ওয়ার্ড/কর্নার/কক্ষ/জায়গায় রাখতে হবে। ৫. নিম্নলিখিত চিকিৎসকের সমন্বয়ে একক ও নির্দিষ্ট মেডিকেল টিম গঠন করতে হবে। যারা শুধু ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দেবেন। অধ্যাপক- একজন, সহযোগী অধ্যাপক-দুজন, সহকারী অধ্যাপক/জুনিয়র কনসালট্যান্ট/বিশেষজ্ঞ মেডিসিন, শিশু ও প্রয়োজনীয় বিষয়ক পাঁচজন (একজন করে সহকারী অধ্যাপক রোস্টার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি পালন করবেন। পরিচালক তাদের থাকার ব্যবস্থা করবেন)। মেডিকেল অফিসার রেসিডেন্সি/অনারারি প্রশিক্ষণার্থী ১০ জন। (সকালে ৪ জন, দুপুরে ২ জন, রাতে ২ জন্য; নার্স (প্রয়োজনীয় সংখ্যক); নার্স একজন (ড্যাটা প্রেরণ ও সংরক্ষণের জন্য)। ৬. বহির্বিভাগে একটি কক্ষ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগীর জন্য নির্ধারণ করতে হবে। ৭. আইসিইউ ও হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ৮. মৃত্যুর সংক্ষিপ্ত তথ্য ৬ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল পরিচালক ও পরিচালককে (হাসপাতাল, সিডিসি) (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) মোবাইল ম্যাসেজ এবং ইমেইলের মাধ্যমে জানাতে হবে। ৯. হাসপাতাল পরিচালক, মেয়র (সিটি করপোরেশন/পৌরসভা) বরাবর হাসপাতালের চারপাশে মশক নিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার জন্য পত্র দিতে হবে। ১১. অন্যান্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রয়োজনে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারবেন। ১০. প্রতি শনিবার সকালে পরিচালকের সভাপতিত্বে ডেঙ্গু সমন্বয় সভা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।