অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ ঢাকা মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাবের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, 2:06 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, 2:06 PM
অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ ঢাকা মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাবের বিরুদ্ধে
ছবি : সংগৃহীত
-উত্তরায় নির্মাণাধীন স্পোর্টস গ্রাউন্ড নিয়ে বিতর্ক
-অবৈধ দখল নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা; নীরব রাজউক
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)–এর মালিকানাধীন প্রায় ২ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ঢাকা মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাব ও স্পোর্টস এডুকেশন একাডেমি ক্যাম্পাস নাম দিয়ে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে কবরস্থানের সামনে অবস্থিত ওই সরকারি জমিতে শুটিং স্পোর্টস গ্রাউন্ড নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি এই কাজ করছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের রোড ২০-এ প্লট-৩৩,৩৫,৩৭,৩৯ এবং রোড ২১-এ প্লট ৩৪,৩৬,৩৮,৪০—বহুদিন ধরে এই প্লটগুলো রাজউকের সম্পত্তি। স্থানীয়দের অভিযোগ, দখলদার প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ জায়গাটি বাউন্ডারি দিয়ে ঘিরে নিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে সেখানে Dhaka Metropolitan Shooting Club, Gun Club এবং Sports Education Academy Campus লেখা একাধিক ব্যানার ও সাইনবোর্ড দেখা গেছে
বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন, নীরব রাজউক
যদিও দখলদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জমির একটি ছোট অংশের জন্য বরাদ্দের দাবি করা হলেও, সরেজমিনে তারা কোনো বৈধ নথি দেখাতে পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারি জমিতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এমন বৃহৎ আকারের নির্মাণকাজ কীভাবে চলছে, তা তদন্ত করা জরুরি।
তাঁদের অভিযোগ, যদি জমির বৈধ বরাদ্দ থাকে, প্রতিষ্ঠানটি তা দেখাতে পারে। আর না থাকলে কারা তাদের এ কাজে সহায়তা করছে, তা খুঁজে বের করা উচিত।
বিষয়টি নিয়ে রাজউকের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। জমি দখলের সুযোগ কারা দিল, রাজউক কোনো অনুমতি দিয়েছে কি না—এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও নীরব রয়েছেন। এদিকে, রাজধানীতে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের অধীনে ইতোমধ্যে গুলশান শুটিং ক্লাব পরিচালিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আরেকটি বেসরকারি শুটিং ক্লাব গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
অবৈধ দখলদারিত্ব শক্ত হাতে দমন করা হবে শহর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজধানীতে নামে–বেনামে সংগঠন গড়ে তুলে সরকারি জমি দখলের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাঁদের মতে, রাজউকের উচিত জমি বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় আরও কঠোর হওয়া, অন্যথায় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সম্পদ বেসরকারি দখলে চলে যেতে পারে।
উক্ত অবৈধ দখলের ঘটনাটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তুরাগ থানার দায়িত্বশীলদের নজরে আনা হলে, তুরাগ থানার আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, পূর্বে আওয়ামী লীগের দখলে থাকা বেশ কয়েকটি প্লট ২৪ পরবর্তী একটি বিশেষ মহল শুটিং ক্লাবের নামে দখল করেছে বলে অভিযোগ এসেছে। যেটা খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের অবৈধ দখল বা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সর্বদা পরিষ্কার। আমরা এই ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নিব। কোনো প্রকার অবৈধ দখলদারিত্ব এবং চাঁদাবাজিকে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে শক্ত হাতে দমন করব।