৭ বছর কারাভোগের পর নির্দোষ প্রমাণিত রফিকুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 3:15 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 3:15 PM
৭ বছর কারাভোগের পর নির্দোষ প্রমাণিত রফিকুল
৩৫ বছর পর জানা গেল ত্রুটি। ভুল আইনের মামলায় দেয়া হয়েছে সাজা। রংপুরের চোরাচালান মামলায় আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। দায়মুক্তি মিললেও ওই সময়ে পুরো সাজাই খেটেছেন তিনি। সীমান্ত এলাকায় মাদকসহ গ্রেপ্তারে মামলা হয় চোরাচালান আইনে। কিন্তু ১৯৮৮ সালের ২৭ আগস্ট, সীমান্তবর্তী জেলায় গ্রেপ্তার না হলেও রফিকুল ইসলাম নামে এক আসামির বিরুদ্ধে ওই আইনে মামলা হয়। রংপুরে ১০ গ্রাম হিরোইনসহ গ্রেপ্তার হন তিনি। রাসায়নিক পরীক্ষায় জব্দ পাউডার হিরোইন প্রমাণিত হলে, রফিকুলকে ৭ বছরের জেল ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন, রংপুরের চোরাচালান সম্পর্কিত ট্রাইব্যুনাল।
তৎকালীন রংপুর হাইকোর্টে আপিল করলেও তার জামিন হয়নি। এরপর বিভাগভিত্তিক হাইকোর্ট বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয়, তার ৭ বছরের কারাবাস। টাকার অভাবে আর আপিল বিভাগে যেতে পারেননি তিনি। ৩৫ বছর পর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী পুরনো মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিলে চূড়ান্ত শুনানিতে খালাস পান রফিকুল। কারণ রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়েছিল, ৮.৬ গ্রাম পাউডারের। যা হিরোইন প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু রফিকুলের কাছ থেকে ৫ গ্রামে করে যে দুই প্যাকেট পাউডার জব্দ হয়। সেটির পরীক্ষা হয়নি। রফিকুল ইসলামকে তার ৩৫ বছর আগের ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। এমনকি তার পরিবারের কেউই আর ঐ ঠিকানায় নেই। রাষ্ট্রপক্ষ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম বলেন, বিচার সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীলতার ঘাটতির কারণে ৭ বছর জেল খাটতে হয়েছে রফিকুলকে। এমন আরও বেশকিছু পুরনো মামলা এখন বিচারাধীন রয়েছে হাইকোর্টে।