ঢাকা জেলা সাভার উপজেলায় রাতের আঁধারে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কাউসার আলীসহ চার জনের নামে তিতাস কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় কাউসার আলী সাভার তিতাস গ্যাস ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম রাতে সাভার মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন । মামলা সুত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে সাভার উপজেলার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে প্রতি সপ্তাহে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করণ করেন সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড। রাষ্ট্রীয় টাকা খরচ করে প্রতিনিয়ত অবৈধ গ্যাস সংযো বিছিন্ন করণ করলেও সুফল মিলছে না কোন ভাবেই। দু'একদিনের মধ্যেই পূনরায় অবৈধ সংযোগ দিয়েই যাচ্ছেন সিন্ডিকেট চক্রটি। রাতের আঁধারে সাভার তিতাস গ্যাস ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলীসহ একটি চক্র বিভিন্ন বাসা বাড়িতে অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব অবৈধ সংযোগের কারণে বিভিন্ন বাসা বাড়ি ও পোশাক কারখানার মালিকরা গ্যাস সংকটে ভুগছেন দীর্ঘ এক দশক ধরে। গত কয়েকদিন পূর্বে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় রাতে সাভার তিতাস গ্যাস ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলী, দেবাশীষ মোহন্ত, গোলাম মোস্তফা কামাল, ও ফোরকানসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন, সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম। তিতাস গ্যাস অফিস এ প্রতিবেদককে জানায়, তিতাস গ্যাসের সাভার জোনাল অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগের সাথে প্রতক্ষ ও পরক্ষভাবে জড়িত। তাদের সঙ্গে যোগসাজশে তিতাস গ্যাস ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলী ও তার চক্র দিনে বিচ্ছিন্ন অবৈধ গ্যাস সংযোগ রাতের আঁধারে পুনঃসংযোগ দিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, কাউসার চক্রের বিরুদ্ধে সেই অবৈধ সংযোগ থেকে মাসিক হারে বিল আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে।  তারা গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে থাকেন। এসব কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় সাভার তিতাস গ্যাস অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয়। চক্রের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ায় কাউসার আলীর মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রান্তিক গ্যাস কনস্ট্রাকশন’কে তিতাস কর্তৃপক্ষ কালো তালিকাভুক্তও করে। অভিযোগ রয়েছে, কাউসার ও তার চক্র গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা পরিচয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতে বৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদেরও নানাভাবে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করে আসছে । সাভার উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে অনেক গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছেন ঠিকাদার কাউসার আলীসহ অন্যান্যরা। বহুবছর ধরে সারাদেশে তিতাস গ্যাসের আবাসিক সংযোগ বন্ধ থাকলেও সাভার উপজেলা সহ আসপাশের এলাকাগুলোতে ঠিকাদারকে টাকা দিলেই মিলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। কর্তৃপক্ষের নজরদারির ঘাটতি এবং আইনের দুর্বলতার কারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় প্রতিনিয়ত অবৈধ সংযোগ দিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার চক্র, এতে করে একদিকে অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারনে সরকারের প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার গ্যাস চুরি করছেন এ সিন্ডিকেট চক্রটি এবং অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে প্রতিমাসে ব্যায় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বিকল্প পথ অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সচেতন মহল।