সময় নির্ধারণ করে সেবা দেওয়ার তাগিদ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ মে, ২০২৪, 2:46 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ মে, ২০২৪, 2:46 PM
সময় নির্ধারণ করে সেবা দেওয়ার তাগিদ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন যতগুলো সেবা দেয়, তার সবগুলো আগামীতে একটা লিপিবদ্ধ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। লিপিবদ্ধ এ কর্মপরিকল্পনায় সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রণালয় থেকে আমরা যত সেবা দিই, সব সেবা আমরা একটা রিটেন ফ্লো চার্টের মধ্যে দেব; যেখানে সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে৷ কোন প্রক্রিয়া কত সময়ের মধ্যে দেব এটাও ঠিক করে ফেলবো৷ এটা করে ফেলতে পারলে আমাদের পুরো সেবাটাকেই ই-গভর্ননেন্সে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারবো৷ বুধবার (১৫ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইনোভেশন শো-কেসিং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলে তিনি৷ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছর শুরু হবে এক মাসের মধ্যে৷ জুনে বাজেট শুরু হবে৷ আমি কয়েকটি কাজ করতে অনুরোধ করবো আপনাদেরকে৷ আমরা যে সেবা প্রদান করি সেই প্রক্রিয়াটাকে ডিজিটালাইজ করা৷ আমাদের ডিজিটালাইজেশনের ধারণাটা পরিস্কার না৷ এটা যে কোনো অটোমোশন বা ই-গভর্নেন্সের পূর্বশর্ত৷ যে সেবাটি আপনি দেবেন সেটা ফ্লো-চার্টের মতো সাজানো থাকা উচিত৷ খুব সহজ; আমি কি সেবা দিচ্ছি এবং সেবাটা কি প্রক্রিয়ায় দেব, স্টেপ বাই স্টেপ লিপিবদ্ধ থাকবে৷ আগামী বছর আমাদের উদ্ভাবন পরিকল্পনা একটা অন্যতম অনুষঙ্গ হবে এটা৷ তিনি বলেন, এখন আর আরজিসিতে একটা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করতে কাউকে আমাদের অফিসে আসতে হয় না৷ দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকবে সেখানে বসেই কিন্তু একটা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব৷ আমাদের আইআরসি, এক্সপোর্ট পারমিশন, ইমপোর্ট পারমিশন; সব সেবাই কিন্তু অনলাইনে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি৷ যেখানে আমাদের সমস্যাটা সমাধান করতে হবে, সেটা হলো জিনিসটাকে একই লাইনে আনতে হবে৷ একটা প্রক্রিয়া অটোমেট করলেন, আরেকটা করলেন না; তাহলে তো হবে না৷ এই জায়গাগুলোতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াগুলো চিন্তা করতে হবে এবং সেটাকে ডিজিটালাইজ করার চেষ্টা করতে হবে৷ আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন; আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি৷ প্রধানমন্ত্রী চারটি পিলারের ওপর স্মার্ট বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছেন৷ প্রথমত স্মার্ট সিটিজেন, তাদেরকে নিয়েই আমাদের সব কর্মপরিকল্পনা৷ কোন সিস্টেম ডিজিটাল করলাম কিন্তু পেমেন্ট মেথড ডিজিটাল করলাম না, তাহলে কিন্তু পরিকল্পনাটা সম্পূর্ণ হলো না৷ আপনি সেবা দিচ্ছেন কিন্তু পেমেন্টটা কিভাবে নিচ্ছেন সেটাও ভাবতে হবে৷ এটাকেও ডিজিটালাইজ করতে হবে৷ তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা জিনিসের কর্মপরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করে ডিজিটালাইজ এবং সম্পূর্ণ করতে পারলেই আমাদের সার্থকতা৷ আমরা বাংলা এবং ইংরেজি একেবারে গুলিয়ে ফেলছি৷ হয় পুরোটা ইংরেজিতে বলবো অথবা পুরোটা বাংলায় বলবো৷ আমার মনে হয়, ইংরেজি যা লিখি সেটা ইংরেজি লেটার দিয়ে লিখলে ভালো হয়৷ আমাদের এই চর্চাটা শুরু করা উচিত৷