শত শত শিশু কন্ঠে বঙ্গবন্ধু ও সোনার বাংলা গড়ে তোলার শপথ
নিজস্ব প্রতিনিধি
৩০ জুলাই, ২০২২, 1:05 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
৩০ জুলাই, ২০২২, 1:05 PM
শত শত শিশু কন্ঠে বঙ্গবন্ধু ও সোনার বাংলা গড়ে তোলার শপথ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মঙ্গলসুখ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাত্যহিক সমাবেশে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়ার শপথ বাক্য পাঠ করছে শিুশুরা। এতে প্রাথমিকের শিশু শিক্ষার্থীদের মননে, চেতনায় বঙ্গবন্ধু ও রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস প্রতিফলিত হচ্ছে। দেশের প্রতি তাদের মমত্ববোধ জাগ্রত হচ্ছে। এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন বুনছে ছোট ছোট শিশুরা। আজ শনিবার (৩০জুলাই) সকাল সোয়া ৯টায় মঙ্গলসুখ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শত শত শিশুরা তাদের প্রাত্যহিক সমাবেশে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর শত শত কন্ঠে উচ্চারন করলো ’আমি দৃপ্ত কন্ঠে শপথ করছি যে, শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবনা। দেশকে ভালোবাসবো,
দেশের মানুষের সার্বিক কল্যানে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।’ এসময় শত শত শিশুর উচ্ছ্বসিত কন্ঠে চারদিকে প্রকম্পিত হয় সোনার বাংলা গড়ে তোলার দীপ্ত শপথ বাক্যে। মঙ্গলসুখ সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর শিশু শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত জানায়, ক্লাশ আরম্ভের আগে স্যাররা রোজ তাদের জাতীয় সঙ্গীত ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার শপথ পড়ায়। ৩য় শ্রেনীর শিশু শিক্ষার্থী অগ্নি হাওলাদার জানায়, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা যুদ্ধ তাদের স্যারদের কাছ থেকে তারা জেনেছেন। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক যুগল চন্দ্র কুন্ড জানান, আজকের শিশুরাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে। তাই বঙ্গবন্ধুর মত তাদেরও চেতনায় যাতে দেশপ্রেম থাকে এজন্যই প্রাত্যহিক সমাবেশে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয় শিশু শিক্ষার্থীদের। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এক নির্দেশনা জারি করা হয়। যাতে প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সকল সরকারী, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ইংরেজী কারিকুলামে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশ কালে উক্তরুপ শপথ বাক্য পাঠ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। এরপরও কলাপাড়ার অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয় কিংবা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করানোর দৃশ্য অদ্যবধি চোখে পড়েনি।