
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৭ জানুয়ারি, ২০২৩, 1:06 PM

রায়পুরে জামাই হত্যার অভিযোগে বউ-শাশুড়ি আটক
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়ের পাঁচ মাস পর শ্বশুরবাড়িতে জামাই হারুনুর রশিদকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুনের শাশুড়ি খুকি বেগম ও স্ত্রী বৈশাখী বেগমকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী গ্রামে শ্বশুর বাড়ির পাশের বাগান থেকে হারুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই হারুনের শ্বশুর মনছুর আহমেদ ও ভায়রা জুয়েল আত্মগোপনে রয়েছেন। নিহত হারুন সদর উপজেলার চর রুহিতা ইউনিয়নের নবীগঞ্জ বাজার এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় মাংস ব্যবসায়ী ছিলেন। হারুনের পরিবারের লোকজন জানায়, মরদেহের কপাল ও গলায় জখম ছিল। হারুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ মাস আগে চরবংশী গ্রামের মনছুর আহমেদের মেয়ে বৈশাখীর সঙ্গে হারুনের বিয়ে হয়।
বিয়ের কিছুদিন পরই জানা যায় বৈশাখীর অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেম রয়েছে। বৈশাখী নিয়মিত ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলত। এ নিয়ে হারুন ও বৈশাখীর মধ্যে প্রায়ই কথা-কাটাকাটি হত। এ কারণে কয়েক দিন আগে বৈশাখী তাদের বাড়িতে চলে যায়। সোমবার রাতে হারুনকে বৈশাখীর বোনজামাই শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত করতে বাড়ির পাশের বাগানে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। এটি পরিকল্পিত হত্যা। হারুনের ভাই রিয়াজ হোসেন ও বোন জোৎস্না বেগম জানান, আমাদের ভাবি বৈশাখীর বিয়ের আগে প্রেম ছিল। বিয়ের পরেও তিনি প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতেন। এ নিয়ে প্রায়ই হারুনের সঙ্গে ভাবির কথা-কাটাকাটি হতো। সোমবার রাতে হারুনকে তার ভায়রাভাই জুয়েল শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়৷ রাত ৩টার দিকে খবর আসে হারুন আত্মহত্যা করেছে। আমরা মনে করি এটি আত্মহত্যা নয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, হারুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের কপালে জখম রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছে, হারুন বরই গাছের সঙ্গে আঘাত করে কপালে জখম করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।