রমজানে পাপ পরিহারের গুরুত্ব
২১ মার্চ, ২০২৪, 10:36 AM
NL24 News
২১ মার্চ, ২০২৪, 10:36 AM
রমজানে পাপ পরিহারের গুরুত্ব
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, রমজান মাসের প্রথম রাতেই শয়তান ও দুষ্টু জিনদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করে ফেলা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও তখন খোলা হয় না; জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকে, ‘হে কল্যাণকামী! অগ্রসর হও! হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আছে জাহান্নাম থেকে বহু লোককে মুক্তি দান। প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে।
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৬৮২)
রমজান মাস মুমিনের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। এই মাসে আল্লাহ মুমিনের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছেন। রমজানের প্রথম প্রহর থেকেই একজন ঘোষণাকারী এই কল্যাণের ঘোষণা দিতে থাকে।
সে বলতে থাকে, ‘হে কল্যাণকামী! অগ্রসর হও! হে পাপাসক্ত! বিরত হও’। এই আহ্বান বান্দার প্রতি আল্লাহর কল্যাণকামিতারই বহিঃপ্রকাশ। কেননা তা বিশ্বাসী ব্যক্তিকে আল্লাহর আনুগত্য করতে এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে উদ্বুদ্ধ করে, বিশেষত যখন ঘোষণা করা হয় জাহান্নাম থেকে মুক্তির। প্রত্যেক মুমিনের উচিত, পাপ পরিহার ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাওবা করে মুক্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) পাপ পরিহারের পুরস্কার এভাবে ঘোষণা করেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান, তার মধ্যবর্তী সময়ের জন্য পাপমোচনকারী হবে যদি কবিরা গুনাহ হতে বেঁচে থাকে।
(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৩৩)