ঢাকা ২৩ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ভোটকক্ষে সরাসরি সম্প্রচার নয়: ইসি মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: হতাহতদের পরিবারকে ১০ লাখ ক্ষতিপূরণ দিতে রিট আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে অভিযান, ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা অসম্ভব : প্রেস সচিব উদ্বোধনের অপেক্ষায় অত্যাধুনিক সুনামগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা দেওয়ার অনুরোধ সাগরে লঘুচাপটি পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৮ খালি পেটে ঘি খাওয়া কতটা নিরাপদ? সেই শিক্ষক মাহরিনের বীরত্বের প্রশংসায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

যেভাবে উদ্ধার করা হয় পাইলট তৌকিরকে

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জুলাই, ২০২৫,  2:14 PM

news image

ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মঙ্গলবার শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। এখনও সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে আছে। কেউ কাঁদছেন প্রিয় সহপাঠীর জন্য, প্রিয় সহকর্মী হারানোর কষ্টে শিক্ষকরাও রয়েছেন নীরব-নিস্তব্ধ। এর মাঝেই স্কুলটির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে কথা গণমাধ্যমকর্মীদের। সোমবার (২১ জুলাই) দুর্ঘটনার সময় নিজে প্রাণে বেঁচে গেছেন। চোখের সামনে দাউ দাউ আগুনে পুড়তে দেখেছেন স্নেহের শিক্ষার্থীদের। সেই বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কথা গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছেন নাসিরউদ্দিন।  তিনি বলেন, একটা প্রচণ্ড সাউন্ড হয়। শব্দের সঙ্গে সঙ্গে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি। এসে দেখি একটা অংশ পুরো ভেঙে গেছে। তারপরই সবাই বলে আগুন আগুন।

যেখানে বিমানটা পড়েছে ওখানটায় গিয়ে দেখি মাত্র আগুন ধরছে। তারপর পরই সময় যত বেড়েছে আগুনের পরিমাণ বেড়েই চলছিল। বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। নাসিরউদ্দিন বলেন, বারবার আমরা পানি দিচ্ছিলাম, কিন্তু আগুন কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। কিছুক্ষণ পরে আমার হাতের বামে দেখি অনেকগুলো স্টুডেন্ট আমার নাম ধরে ডাকছে, বলছে – স্যার আমাদের বাঁচান। পরে আমিসহ কয়েকজন গ্রিল ভেঙে ১২ থেকে ১৩ জনকে উদ্ধার করি। প্রায় আধাঘণ্টা পর আমি আমার ডিপার্টমেন্টে আসি। আমার ডিপার্টমেন্টে আসি যখন, তখন আমার পিয়ন বলে স্যার ডিপার্টমেন্ট পুরোটা ভেঙে গেছে। স্কুলটির শারীরিক শিক্ষা বিভাগেই নাসিরউদ্দিনের অফিস।

বিধ্বস্ত ভবনে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী উদ্ধার অভিযান শুরু করার নিজ বিভাগে ফিরে আসেন তিনি। নাসিরউদ্দিন বলেন, আমার অফিসের ভেতরে ঢুকে দেখি আমার ডেস্ক পুরোটা দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে গেছে। ওপরে দেখতে পাই প্যারাসুট। তখন গুঞ্জন আসলো প্যারাসুট থাকলে মানুষ আসতে পারে। তখন বিমান বাহিনীর লোকরা সার্চ করে দেখে আমার ঘরের এক কোনায় পড়েছিল পাইলট। টিনের চাল ভেঙে আমার ঘরেই মধ্যে পড়েছিল পাইলট। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে পাইলটকে। মঙ্গলবার দুপুরে কুর্মিটোলায় যুদ্ধবিমানটির নিহত পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম সাগরের ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। প্যারেড শেষে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম