মির্জা আব্বাসের দুদকের মামলার রায় ১২ ডিসেম্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ নভেম্বর, ২০২৩, 2:19 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ নভেম্বর, ২০২৩, 2:19 PM
মির্জা আব্বাসের দুদকের মামলার রায় ১২ ডিসেম্বর
তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার রায় পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় নতুন দিন ধার্য করা হয়। গত ২২ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত। গত ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওইদিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন।
আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করেন। এরপর গত ১৫ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে দ্বিতীয় দিনের মতো সাফাই সাক্ষী দেন মির্জা আব্বাস। এরপর দুদক তাকে জেরা করে। পরে মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলায় মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষী দেন। অন্য চারজন হলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল। জানা গেছে, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন। ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মামলাটি করেন তিনি। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। ২০০৮ সালের ১৬ জুন এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।