ঢাকা ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার সুফিবাদী ঐক্য ফোরামের গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪১১ আচরণবিধি নিশ্চিতে প্রতি উপজেলায় থাকবেন দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: স্বামীসহ গৃহকর্মী আয়েশা ৩ দিনের রিমান্ডে তফসিল ঘোষণা ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় নির্বাচন ভবন বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ কাফির’ আখ্যা, নিন্দা বিএনপির শিশু সাজিদের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে যা জানা গেল ঢাবিতে পিনাকী-ইলিয়াসের কুশপুত্তলিকা দাহ ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ

মা-মেয়েকে হত্যা, সেই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫,  1:22 PM

news image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত লায়লা ফিরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পুলিশের ধারণা, এ হত্যাকাণ্ডে গৃহকর্মী আয়েশা জড়িত। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহকর্মী পলাতক। তার বয়স ২০ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজেও গৃহকর্মী আয়েশাকে খুনের দিন (সোমবার) সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে কালো বোরকা পরে ওই বাসায় প্রবেশ করতে দেখা দেখে। এরপর ৯টা ৩৬ মিনিটে স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে তাকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহকর্মী পলাতক। গৃহকর্তা আজিজুলের দেওয়া তথ্যমতে, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকাল ৭টার দিকে স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। স্কুলে পরীক্ষা চলমান থাকায় বাসায় ফেরেন তাড়াতাড়ি। ১১টার পরে বাসায় এসে প্রথমে মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে রান্নাঘরে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তার স্ত্রী। পুলিশের একটি সূত্রে জানায়, হত্যাকান্ডের ঘটনার পর বাসা তল্লাশি করে বাথরুমে একটি চাইনিজ সুইচ গিয়ার ও একটি ধারালো চাকু পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ছুরি দুটি দিয়ে মা-মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। নাফিজার বাবা এ জেড আজিজুল ইসলাম বলেন, ভবনের তত্ত্বাবধায়ক ও নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে চার দিন আগে ওই গৃহকর্মীকে কাজে নেন। সকালে এসে বাসার কাজ করে চলে যেত। এরমধ্যে রোববার বাসার মূল দরজার চাবি হারিয়ে যায়। সন্দেহ হলেও গৃহকর্মীকে কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, মেয়েটির পরিচয় ও ফোন নম্বর চেয়েছিলাম। কিন্তু সে বলেছিল, আগুনে পুড়ে তার মা-বাবা মারা গেছেন। সে-ও আগুনে দগ্ধ হয়েছিল। এসব বলে পরিচয় ও ফোন নম্বর দেয়নি।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম